জুমবাংলা ডেস্ক : আন্দোলন-সংগ্রাম ও কর্মসূচিতে বিএনপির অনেক নেতা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। তাই দলকে চাঙ্গা করতে এসব সুবিধাভোগী নেতাদের নজরদারিতে রেখেছে দলটি। এসব নেতাদের সরিয়ে নতুন নেতৃত্ব চায় তৃণমূল বিএনপি। দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির ৩ মাস পার হলেও এখনো দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বড় একটি অংশ প্রায় অচল, অকেজো ও নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। দলের গতি ফেরাতে ও দলকে চাঙ্গা করতেই এসব নেতৃত্বের পরিবর্তন আনতে চায় বিএনপি। বিশেষ করে যারা দলীয় কার্যক্রমে একেবারেই অনুপস্থিত, দলের কোনো কর্মকাণ্ডে পাওয়া যায় না- এমন নেতাদের সরিয়ে নতুন নেতৃত্বের প্রবাহ সৃষ্টি করা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে একাধিক বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, বিএনপির উচিত দলের মধ্যে এখন একটি চিরুনি অভিযান চালানো।
তারা বলেন, দলের মধ্যে অনেক বিশ্বাসঘাতক তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে খালেদা জিয়া যখন কারাগারে ছিলেন তখন বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতা নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য ঠিক রাখতে নীবর ভূমিকা পালন করেছে। বিএনপির হাইকমান্ডের উচিত সেই সব নেতাদের তালিকা তৈরি করে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একজন নেতা বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপিতে কিছু মীরজাফর তৈরি হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতাদের বড় একটি অংশ পরিকল্পিতভাবে আজ বিএনপিকে কোণঠাসা করে রেখেছে। তারা ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থে বিএনপিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। তাদের বর্তমানে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে কাউন্সিল করে এসব নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটানো হবে।
তিনি আরও বলেন, কোনো কারণে কাউন্সিল না হলেও দলের যেসব নেতাকর্মী অলস বসে আছেন বা দল করার কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না, তাদেরকে আস্তে আস্তে সরিয়ে দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।