লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রেম একটি স্বাভাবিক মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা। যুগে যুগে প্রেমের সংজ্ঞা পাল্টেছে। কিন্তু প্রেম রয়ে গেছে প্রেমের জায়গাতেই। যে যেমনই হোক না কেন, প্রেম যেন এক সুতোয় গেঁথে একই বিন্দুতে নিয়ে আসে। আর যারা নতুন নতুন প্রেমে পড়ে তাদের কাছে তখন জীবনের মানেই যেন প্রেম। পুরো পৃথিবীটাই যেন তাদের কাছে প্রেমের স্বর্গরাজ্য।
তবে প্রেম সবার জীবনে একই অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে না। কেউ যেমন প্রথম প্রেমেই জীবন পার করে দিতে পারে, কেউ আবার একাধিকবার প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েও সুখের দেখা পাননা। আবার অনেকেই অনেক ঘাটের জল খেয়েও সুখের আশায় নোঙর ফেলেন এক ঘাটের তীরেই।
তবে যত যাই হোক না কেন, প্রেমের সম্পর্কের মেয়াদ দীর্ঘ করতে চাইলে সতর্ক থাকার পাশাপাশি কিছু জিনিসের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত। বিশেষ করে নতুন প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরো বেশি সতর্কতার সাথে কিছু জিনিস এড়িয়ে যাওয়া উত্তম। কি সেগুলো? লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট অবলম্বনে সেরকম কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো-
প্রাক্তন সংক্রান্ত বিষয়ঃ কারো সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়ালে সেখানে নিজের বা সঙ্গীর প্রাক্তনকে কখনোই টেনে আনবেন না। এমনকি এক্সের সাথে নিজের বর্তমান সঙ্গীর তুলনায়ও যাবেন না। কারণ প্রাক্তন হলো অতীত। আর অতীত টেনে বর্তমানকে বিষিয়ে তোলা নিতান্তই অর্থহীন।
বন্ধুদের পরামর্শঃ সম্পর্কটা আপনাদের দুজনের। সেখানে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কখনোই বন্ধুদের কাছে কোন পরামর্শ চাইবেন না। বরং নিজেই সব পরিস্থিতির মোকাবেলা করুন। সব বন্ধু আপনার হিতাকাঙ্খী নাও হতে পারে। বরং আপনার প্রেম কীভাবে ভেঙে দেওয়া যায় সেই চেষ্টাও করতে পারে অনেকে। কারণ বন্ধু হলেও আপনাদের সম্পর্কে তার অবস্থান তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবেই।
ভালোবাসার প্রমাণ চাওয়াঃ সঙ্গীর কাছে কখনো ভালোবাসার প্রমাণ চাইবেন না। কারণ তিনি যেহেতু আপনার সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে আছে, সেহেতু নিশ্চয়ই আপনাকে ভালোবেসেই আছে। এছাড়া “তুমি আমাকে কতটা ভালোবাসো তার প্রমাণ দাও” কিংবা “আমাকে ভালোবাসলে তুমি অবশ্যই এসব কাজ করতে পারতে” এমন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবেন না। এতে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
অন্য কারো সঙ্গীর সঙ্গে নিজের সঙ্গীর তুলনাঃ প্রায়শই দেখা যায় অন্য কারো সঙ্গীর প্রশংসা করতে গিয়ে নিজের সঙ্গীর অনেক বিষয়াদির সাথে তুলনা করে বসে। এটা একেবারেই অনুচিত। পৃথিবীতে কেউই কারো মত নয়। সবার অনুভূতি প্রকাশের ভাষা/ধরণও একেক জনের একেক রকম। অন্যের সঙ্গীর প্রশংসা চাইলে করতে পারেন। কিন্তু তাই বলে কখনোই নিজের সঙ্গীকে তার সাথে তুলনা করে নয়। এতে সম্পর্কে তিক্ততার প্রবেশ ঘটে।
অপমানসূচক কথা না বলাঃ সঙ্গীর কোনো কিছু আপনার অপছন্দ হতেই পারে। তার এমন অনেক জিনিসই থাকতে পারে যা কিনা আপনি দু চক্ষে সহ্য করতে পারেন না। কিন্তু তাই বলে তাকে আঘাত করে অপমানজনক মন্তব্য করা ঠিক না। তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে আপনার পছন্দ-অপছন্দের বিষয় বুঝিয়ে বলুন। তিনি নিশ্চয় বুঝবেন। তাছাড়া এতে সঙ্গীর প্রতি সম্মান এবং সহনশীলতাও প্রকাশ পায়, যার ফলে সম্পর্কের গাঢ়তাও বাড়বে এতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।