দেশে দেশে আন্দোলন-বিক্ষোভ করে ক্ষমতার পট বদলে দেওয়া আলোচিত জেনারেশন জেড বা জেন-জি প্রজন্মকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।তিনি বলেছেন, জেন-জিদের তিনি ভালোই বুঝতে পারেন। কারণ তার ছেলেও এই প্রজন্মের মানুষ।এছাড়া কোনো কাজে ব্যর্থ হলেও জেন-জিদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
কলকাতার বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রবান্তী বলেন, “ছেলে এবং ওর বন্ধুদের সঙ্গে মিশি তো। তাই লিঙ্গসাম্য নিয়ে ওদের সচেতনতা, ওদের ভাষা সহজেই বুঝতে পারি। আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এত বাড়বাড়ন্ত তো ছিল না। কত পোর্টাল তৈরি হয়েছে, যা পারে তাই লিখে দেয়।
“তাই নতুনদের বলতে চাই, প্রথম কাজ ভালো না হলে পরেরটা যাতে ভালো হয়, সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। অন্য কোনো কিছু নিয়ে মন খারাপ যেন না করে।”
১০ বছর পর এবারের দুর্গাপূজায় মুক্তি পাচ্ছে শ্রাবন্তীর নতুন সিনেমা ‘দেবী চৌধুরাণী’।
ভারত-যুক্তরাজ্য সরকারের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হওয়া এই সিনেমায় মূল চরিত্র ‘দেবী চৌধুরাণী’র ভূমিকায় অভিনয় করছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ভবানী পাঠক হয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। উপন্যাসের দুই অন্যতম চরিত্র নিশি হয়েছেন বিবৃতি চট্টোপাধ্যায় ও সাগরের চরিত্রে দর্শনা বণিক।
শ্রাবন্তী নিজের মধ্যে ‘দেবী চৌধুরাণীকে’ অনুভব করেন কী না প্রশ্নে তিনি বলেন, কমবেশি সবার মধ্যে ‘দেবী চৌধুরগুণ আছে।“পরিস্থিতিতে পড়লে যে কেউ এই রূপ নিতে পারে। জন্মানোর পরেই কি আমরা লড়াই শিখে যাই? পরিস্থিতি আমাদের শেখায়।”
দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় কলকাতার অ্যাকশন হিরো জিতের বিপরীতে ‘চ্যাম্পিয়ন’ সিনেমার নায়িকা হয়েছিলেন শ্রাবন্তী। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘বহুবার কটাক্ষের শিকার হয়েছেন’ বলে বিভিন্ন সময়ে তিনি বলেছেন।
কীভাবে সামলেছেন? শ্রাবন্তী বলেন, “না, এখন আর গায়ে মাখি না। আর আমার মনে হয়, ছোট বয়সে মা হওয়ার অনেক সুবিধা রয়েছে। যেমন ঝিনুক (শ্রাবন্তীর ছেলে) হওয়ার পাঁচ বছর পরে আবার আমি কাজে ফিরি। তখন আমার মাত্র ২১ বছর বয়স। তবে এটা সত্যি, ১৬ বছরটা মা হওয়ার জন্য খুবই কম বয়স। ওটা বাড়াবাড়ি।”
শ্রাবন্তী বলেছেন তিনি সিনেমায় অভিনয়ের আগে চিত্রনাট্য নিয়ে ছেলের সঙ্গে কথা বলেন।তার কথায়, “দেবী চৌধুরাণীর চিত্রনাট্য যখন এসেছিল, সবার প্রথমে ওকে (ঝিনুক) আমি শুনিয়েছিলাম। বেশ অবাকই হয়েছিল। আসলে আমরা মা-ছেলের থেকে বেশি বন্ধু। মাত্র তো ১৬ বছরের পার্থক্য! ছেলের বন্ধুরা তো আমারই বন্ধু! দুই একজন ছাড়া আর কেউ ‘আন্টি’ বলে না। আমি ওদের সবার দিদি।”
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস অবলম্বনে ‘দেবী চৌধুরাণী’ পরিচালনা করেছেন শুভ্রজিৎ মিত্র।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।