জুমবাংলা ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ধনু নদীর পড়ে প্রায় দেড়শ বছরের পুরোনো বালিখোলা মিঠাপানি মাছ বাজার। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে ভোরেই সরগরম হয়ে ওঠে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। চার ঘণ্টায় এই পাইকারি বাজারে তিন কোটি টাকার মাছ কেনাবেচা হয় বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ভোরের আলো ফোটার আগেই নৌকায় মিঠাপানির তরতাজা মাছ নিয়ে বিক্রেতারা আসেন বালিখোলা বাজারে। এরপর নৌকা থেকে মাছ তোলা হয় ঘাটের বাজারে। পাইকারি এ মাছের বাজারে মেলে রুই ,কাতল, শৌল, বোয়াল, আইড়, চিংড়িসহ নানা জাতের মাছ।
কিশোরগঞ্জ ছাড়াও নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ হাওড়ের মাছ এখানে বিক্রি হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসেন ক্রেতারা।
এ ছাড়া হাওড়ে এখন পানি কমছে। তাই বেড়েছে মাছের সরবরাহ। মাছের দামও কিছুটা কম। বাজারে বোয়াল ৩০০ থেকে ৭০০, রুই সাড়ে ৫০০, কাতল ৫০০, চিংড়ি ৭০০ এবং ছোট মাছ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিযোগিতামূলক দরদামেই জেলে থেকে শুরু করে ফিশারির মালিকদের কাছ থেকে মাছ কিনছেন পাইকাররা। এরপর চলে যাচ্ছে, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
বালিখোলা বাজারের সভাপতি মো. সিদ্দিক মিয়া জানান, বাজারে ৫০টি আড়তে প্রতিদিন প্রায় তিন কোটি টাকার মাছ কেনাবেচা হয়।
জেলা ফিশারি অফিসার মো. রিপন কুমার পাল জানান, হাওড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে বালিখোলা বাজারে মাছ আসে। তরতাজা মিঠাপানির মাছের কদর সবসময়ই বেশি। মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে মাছ ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।