জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকা রেসিডেন্টসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের অবহেলাজনিত মৃত্যুর ঘটনায় দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন নিহত আবরারের বাবা মো. মজিবুর রহমান।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আদালতে এ মামলার অভিযোগের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আবরারের বাবা মো. মজিবুর রহমান জবানবন্দি প্রদান করেন এবং আইনজীবীরা মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য আদালতে কাছে প্রার্থনা করেন।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আমিনুল হক নিহত আবরারের লাশ দ্রুত উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। এছাড়া মোহাম্মাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণেশ গোপাল বিশ্বাসকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে মামলার তদন্ত করে প্রতিবেদন জমার দেওয়ার নির্দেশ দেন।
গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকালে রেসিডেন্সিয়াল কলেজের মাঠে কিশোর আলোর অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় আবরার।
এদিকে, আজ দুপুরে রেসিডেন্সিয়াল কলেজের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। এতে অভিভাবকরাও অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তৃতাকালে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ ওল্ড রেমিয়ান্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকালের দিকে রেসিডেন্সিয়াল কলেজের মাঠে শিক্ষার্থীরা প্রথম আলোর অনুষ্ঠান দেখার জন্য ভিড় করেছিল। সাড়ে ৩টার দিকে যখন প্রোগ্রাম শেষের দিকে তখন হঠাৎ চিৎকার শুনলে দেখা যায় আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে আছে।
তখন আবরার বলছিল, তার বুকে অনেক ব্যথা করছে। সবাই তাকে তুলে মাঠের এক পাশে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তাররা যখন দেখলো আবরারের অবস্থা খুবই খারাপ তখন সঙ্গে সঙ্গে তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। তখন বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের জানানো হয়নি।
অনুষ্ঠান আয়োজকরা আবরারের অবিভাবক এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ কারও সঙ্গে যোগাযোগ না করে মহাখালী নিয়ে গেলেন। তারা যখন বুঝলেন আবরারের অবস্থা খুবই খারাপ তখন পাশের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে না নিয়ে মহাখালীতে নিয়ে গেলেন।
তিনি আরও বলেন, ছেলেটা মারা গেছে কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে ছেলেটাকে তাৎক্ষণিকভাবে স্কুলের সাহায্য নিয়ে যদি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারতো তাহলে হয়তো সে বেঁচে যেতো। তারা কাউকে তথ্য না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করেছে।
মশিউর রহমান আরও বলেন, আবরার যে তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে সেই তারটি সরানোর জন্য আগেও কয়েকজন শিক্ষার্থী আয়োজকদের কাছে অভিযোগ করেছিল। কিন্তু প্রথম আলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম তখন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তারা দায়িত্বশীল ছিল না। এটাই প্রমাণ করে ইচ্ছাকৃতভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।