জুমবাংলা ডেস্ক : নাগরিকদের জন্য সরকারি বিভিন্ন সেবা এখন থেকে হাতের মুঠোয়। দেশের জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে “নাগরিক সেবা বাংলাদেশ” নামে একটি নতুন উদ্যোগ শুরু হয়েছে। সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই কার্যক্রমের পাইলট প্রকল্প শুভ উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এই উদ্যোগের মাধ্যমে নাগরিকদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সুচনা হলো, যা অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে এবং সাধারণ নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সব প্রযুক্তিগত সেবা সহজলভ্য করবে।
Table of Contents
নাগরিক সেবা বাংলাদেশ: নতুন ডিজিটাল সেবার প্ল্যাটফর্ম
“নাগরিক সেবা বাংলাদেশ” উদ্যোগের আওতায় ডিজিটাল সেবা প্রদান করা হবে রাজধানীর গুলশান, উত্তরা এবং নীলক্ষেত এলাকায়। এই সেবা কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম শুরু হলেও নীলক্ষেতের কেন্দ্র শিগগিরই খুলবে। এই কেন্দ্রগুলোতে দেশের প্রত্যেক নাগরিক তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, কর ফাইলিংসহ বিভিন্ন সরকারি ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এমন একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার, যা নাগরিকদের ভোগান্তি কমাবে এবং সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে দক্ষতা নিশ্চিত করবে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস এই প্রকল্প উদ্বোধনকালে বলেন, “দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য কমাতে, বিভিন্ন হয়রানির প্রতিরোধ করতে এবং ভোগান্তিমুক্ত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগটি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।” তিনি আরও বলেন, সরকারী মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা সৃষ্টির জন্য নিয়মিতভাবে সেবার আপডেট ও সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা গুরুত্বপূর্ণ।
ইতিবাচক অবদান এবং সামাজিক সেবা
সেবার সহজ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে নতুন উদ্যোগের আওতায় প্রবাসী সেবা কেন্দ্র তৈরির বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষিত নাগরিক সেবা উদ্যোক্তারা স্থানীয় উদ্যাক্তার মাধ্যমে সেবা প্রদান করবেন। ইতিমধ্যে, ২০০ জন নারী ও পুরুষকে নির্বাচন করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে যাদের মধ্যে ১০০ জন সফলভাবে সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, বলেন, “এই উদ্যোগ দেশের বিদ্যমান সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের একটি প্রমাণ।” নতুন নাগরিক সেবা বাংলাদেশ প্রকল্প চলতি বছরের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে, যা স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সাহায্য করবে।
নীতিমালায় সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হবে। এটি দেশের যুবসমাজ ও নারীদের জন্য নিজস্ব উদ্যোগে সক্ষমতা এবং অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের সু্যোগ সৃষ্টি করবে।
বাস্তবায়নের পক্ষ থেকে গভীর আশা
নাগরিক সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তাদের সক্রিয় ভূমিকা নাগরিকদের জন্য ডিজিটাল সেবা সহজলভ্য করবে। উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশের সরকার সেবা প্রদানে নতুন মাত্রা আনবে। প্রকল্পটি স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারি সংস্থার সমন্বয়ে পরিচালিত হবে এবং সেবা মান বজায় না রাখলে লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।
সেবার উন্নয়ন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য ডিজিটাল লিটারেসি ও গ্রাহক সেবায় প্রশিক্ষণের উপর জোর দিতে হবে। অর্থাৎ, প্রচলিত সমস্যা সমাধানে ব্যাপকভাবে কাজ করবে এই উদ্যোগ, যা সরকারের দিক থেকে একটি নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করবে।
নাগরিক সেবা বাংলাদেশ উদ্যোগের লক্ষ্য ডিজিটাল সেবার একটি জাতীয় নেটওয়ার্ক তৈরি করা, যা দেশের সব নাগরিকের জন্য কার্যকর এবং সহজলভ্য সেবা নিশ্চিত করবে।
বাংলাদেশে ডিজিটাল শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত
FAQs
- নাগরিক সেবা বাংলাদেশ কি?
নাগরিক সেবা বাংলাদেশ হচ্ছে একটি নতুন উদ্যোগ, যা দেশের নাগরিকদের ডিজিটাল সরকারি সেবা সহজলভ্য করবে। - এই সেবা কোথায় পাওয়া যাবে?
রাজধানীর গুলশান, উত্তরা এবং নীলক্ষেত এলাকায় নাগরিক সেবা কেন্দ্রে এই সেবা পাওয়া যাবে। - কে সেবা কেন্দ্র পরিচালনা করবে?
প্রশিক্ষিত নাগরিক সেবা উদ্যোক্তারা স্থানীয় উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে এই সেবা প্রদান করবেন। - নাগরিক সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা হতে কিভাবে আবেদন করা যাবে?
প্রথম পর্যায়ে কিছু খুব কঠোর বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নাগরিক সেবা উদ্যোক্তা নির্বাচিত করা হবে। - সেবা প্রদান কিভাবে হবে?
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সেবার সমন্বয় করে নাগরিকদের জন্য অত্যাধুনিক ডিজিটাল সেবা প্রদান করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।