জুমবাংলা ডেস্ক: সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের যুগান্তকারী পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ঔষধ নীতি প্রণয়ন। ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই তিনি ঔষধ নীতি প্রণয়ন করে শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা বিশ্বের সচেতন মানুষের প্রশংসা পেয়েছিলেন।
এই ঔষধ নীতির কারণে আজকে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্পে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। বর্তমানে বাংলাদেশে তৈরি ওষুধ দেশের ৯৮ ভাগ চাহিদা মিটিয়ে বিশ্ববাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাধার পাহাড় পেরিয়ে বিশ্বের ওষুধ বাজারে বিস্ময়কর প্রসার ঘটেছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ বিদেশে যে ওষুধ রফতানি করতে পারছে তার পুরো ক্রেডিট এরশাদের।
১৯৮২ সালে এরশাদ ক্ষমতায় বসেই দেশের জন্য একটি ঔষধ নীতি প্রণয়ন করে। এর ফলে ঔষধের দাম যেমন কমে আসে, তেমনি স্থানীয় কোম্পানিগুলো ঔষধ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করে।
সে নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারের বাইরে থেকে যিনি সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন তিনি হলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ঔষধ নীতিতে উল্লেখ করা হয়েছিল যে ভিটামিন ট্যাবলেট/ক্যাপসুল এবং এন্টাসিড বিদেশী কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের ভেতরে উৎপাদন করতে পারবে না। এসব ঔষধ উৎপাদন করবে শুধু দেশীয় কোম্পানি।
এর ফলে দেশীয় কোম্পানিগুলো আর্থিকভাবে লাভবান হয় এবং বিদেশী কোম্পানিগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে তারা অন্য ঔষধ উৎপাদনের জন্য বিনিয়োগ করতে পারে। তাছাড়া সে নীতির আওতায় সরকার সব ধরণের ঔষধের দাম নিয়ন্ত্রণ করতো। ফলে ঔষধের দাম কমে আসে বলে উল্লেখ করেন ডা. চৌধুরী।
এই ঔষধ নীতিতে বিদেশি ওষুধ বিক্রিতে অনেকগুলো বিধি নিষেধ আরোপ করেছিলেন এবং একই সঙ্গে তিনি দেশীয় ওষুধ উৎপাদনে উৎসাহিত করার জন্য নানা ধরনের প্রণোদনা দিয়েছিলেন। যার ফলে ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের চেহারা অন্যরকম হয়েছে।
পল্লীবন্ধু এরশাদ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার রোধের কার্যকর পদক্ষেপ এবং অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘জাতিসংঘ জনসংখ্যা পুরস্কার’ লাভ করেন। ১৯৮৭ সালের ১০ জুন নিউইয়র্কে তিনি ‘জাতিসংঘ জনসংখ্যা পুরস্কার’ গ্রহণ করেন। তিনি শেরেবাংলা নগরে হার্ট ইন্সটিটিউট স্থাপন করেছেন। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে সরকারি হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ২৩ হাজার ৮৭০টিতে উন্নিত করেন। অথচ ক্ষমতা গ্রহণের সময় তা ছিল ১৬ হাজার ১৭১টি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।