জুমবাংলা ডেস্ক : পিরোজপুরের নাজিরপুরে সবুজ মাল্টার ব্যাপক ফলন হওয়ায় চাষিদের চোখে এখন রঙিন স্বপ্ন। এতে আর্থিক স্বচ্ছলতার সম্ভাবনা দেখছেন মাল্টা চাষিরা। নাজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় দেড়শর বেশি মাল্টার বাগান রয়েছে। তাতে প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছে নাজিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রত্যেক গাছে ঝুলে আছে থোকা থোকা সবুজ মাল্টা। খোলা বাজারে সবুজ মাল্টার চাহিদাও বেশ ভালো। বিদেশী মাল্টার তুলনায় সবুজ মাল্টা দামে কম, ফরমালিন মুক্ত এবং হাত বাড়ালেই যেকোনো বাগাান কিংবা বাজার থেকে সংগ্রহ করা যায় বলে স্থানীয় ক্রেতারা এতে বেশি আকৃষ্ট হয়ে থাকে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, নাজিরপুর উপজেলায় লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ৪০ হেক্টর জমিতে মাল্টার চারা লাগানো হয়েছে। এই এলাকায় বারি-১ জাতের মাল্টার ব্যাপক ফলন হয়। এ ছাড়া মাল্টা চাষের জন্য এই এলাকার মাটি বেশ উপযোগীও।
উপজেলার শ্রীরামকাঠী গ্রামের নাসির উদ্দিন মল্লিক নামের এক কৃষি উদ্যোক্তার সবুজ মাল্টার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ১০ একর জায়গার ওপর তিন হাজার সবুজ মাল্টার চারা। প্রতিটা গাছে ৪০ থেকে ৪৫ কেজি করে মাল্টা ধরেছে। ছয় বছর আগে নিজ জমির সাথে আরো কিছু জমি লিজ নিয়ে মাল্টার বাগান শুরু করেন তিনি।
নাজিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীগ বিজয় হাজরা বলেন, এখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেই বললেই চলে। এ ছাড়া নাজিরপুরের মাটি মাল্টা চাষের জন্য অনেক উপযোগী। এ উপজেলায় মাল্টার চাষ খুব ভালো হয়। যেভাবে শিক্ষিত তরুণ যুবকরা মাল্টা চাষে নেমেছে তাতে আমি আশাবাদী এই উপজেলায় সবুজ মাল্টা চাষে বিপ্লব ঘটবে। সম্প্রতি পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে শ্রীরামকাঠীর নাসির উদ্দিন মল্লিকের মাল্টার বাগান পরির্দশন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।