জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোর শহরের মীরপাড়া এলাকায় বারিষা (২০) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে নাটোর শহরের মীরপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। মৃত্যুতে এলাকায় বিভিন্ন মহলে এনিয়ে নানা ধরনের সমালোচনার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
নিহত গৃহবধূর স্বামীর পরিবারের লোকজন এ মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে দাবি করছেন।
জানা যায়, নাটোর শহরের মীরপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে সোহান’র সাথে শহরের আলাইপুর এলাকার রাকিবুল হাসানের মেয়ে বারিষা ৩ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে তালাহ নামের ২ বছরের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পর থেকেই গৃহবধূ বারিষাকে স্বামী সোহান ও তার পরিবারের লোকজন ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে নানাভাবে বিভিন্ন সময় শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতো। তবে একমাত্র সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সবকিছু নিরবে মুখ বুজে সহ্য করতো গৃহবধূ বারিষা। এরই একপর্যায়ে রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে বারিষার মৃতদেহ স্বামির বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের নানা শহিদুল ইসলাম বাচ্চু জানান, বারিষার স্বামী সোহান ও তার পরিবারের লোকজন মারধর করে হত্যার পর তাকে গলায় রশি দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে নাটক সাজিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং অন্য মানুষের মাধ্যমে তাদেরকে বারিষার মৃত্যুর খবর দেয়া হয় বলেও তিনি জানান। তাই নাতনী হত্যার বিচার চেয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন বিচারের দাবী জানান।
নাটোর সদর থানা ওসি (তদন্ত) জানান, হাসপাতাল থেকে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর নিহত গৃহবধূর স্বামী সোহানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক রহস্য জানা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।