জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোরে প্রশ্নপত্র দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় মোঃ হযরত আলী (৪২) নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মাদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হযরত আলী, নাটোর সদর উপজেলার বাগরুম গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে ও স্থানীয় স্কুল শিক্ষক বলে জানা গেছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় বাগরুম ব্রাক শিশু নিকেতনের শিক্ষিকা ফাতেমাতুয জোহরার স্বামী ছিলেন আসামি মোঃ হযরত আলী। সেই সূত্রে মেয়েটি শিক্ষিকার স্বামী স্কুল শিক্ষক হযরত আলীর কাছে প্রাইভেট পড়তে যেতো। এমতাবস্থায় ২০১৮ সালের ৮ জুলাই বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে মেয়েটি প্রাইভেট পড়ার জন্য আসামীর নিকট গেলে আসামি হযরত আলী সকল ছাত্র-ছাত্রীকে ছুটি দিলেও মেয়েটিকে প্রশ্ন দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ বাসভবনে নিয়ে যায়। এরপর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সেই সাথে ভয়-ভীতি দেখানো হয় যেন ঘটনাটি কাউকে কিছু না বলা হয়। বিষয়টি জানার পর মেয়েটির বাবা ১২ জুলাই নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ মামলাটি তদন্ত অভিযোগ পত্র দাখিলের পর শুনানি শেষে, বিচারক আসামি হযরত আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ প্রদান করেন। জরিমানার টাকা ভিকটিমকে প্রদানের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর জজ কোর্টের পিপি রুহুল আমিন তালুকদার টগর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।