বিনোদন ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়া ভাই খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে চিত্র নায়ক ফারুক খুব সহজে এলাকার মানুষকে আপন করে নিতেন এবং ভালবাসতেন। বুধবার (১৭ মে) দুপুরে চিত্র নায়ক ফারুক সম্পর্কে স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে তাঁর ছোট ভগ্নিপতি ও চাচাত ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী পাঠান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফারুক ভাই চিত্র জগতের হিরো হওয়ার পর একটু বেশি ব্যস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তারপরও তিনি যখনই সময় পেলেন তখনেই পৈতৃক ভিটায় চলে আসতেন। যকন তার কোনো কাজ কর্ম থাকতো না তখন বেশি বেশি বাড়ি আসতেন। তিনি বাড়িতে আসলেই বাড়িতে শত শত মানুষ হতো এবং খুব ভিড় লেগে থাকতো। তখন তিনি সবার সঙ্গে তিনি পরিচিত হতেন, তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী পাঠান আরো বলেন, গ্রামের অসহায় দুস্থ মানুষকে তিনি তার সাধ্যমত সহযোগীতা করতেন। বাড়িতে আসলে তিনি খুব বেশি সময় থাকতেন না। সকালে আসলে দুপুরে কিংবা বিকেলে চলে যেতেন। তাছাড়া বছরে দুটি ঈদে তিনি বাড়ি আসতেন এবং এলাকার মানুষেতের সাথে নামাজ পড়তেন। এলাকায় কোনো অনুষ্ঠান হলে তাকে দাওয়াত করলে তিনি চেষ্টা করতে সেগুলো উপস্থিত থাকতে।
উল্লেখ্য, নায়ক ফারুক গত ১৫ মে স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্যা ভক্ত রেখে গেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত ৯টার দিকে সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে সাড়ে ৯টায় ওই মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নায়ক, এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান দুলু ওরফে ফারুকের পৈতৃক ভিটায় তার মরদেহ আনা হয়। সেখানে এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।