পৃথিবীর মতো আর কোন গ্রহ আছে কিনা এটি জানতে বিজ্ঞানীদের অনেক আগ্রহ রয়েছে। একটা সময় আমাদের সোলার সিস্টেমের বাইরে কোন গ্রহ আছে কিনা সেটা বের করার কোন সিস্টেম ছিল না। কিন্তু 1992 সালে নাসার এ ব্যাপারে সাফল্যের পর সবকিছু বদলে যায়।
নাসা কনফার্ম করেছে যে, মহাকাশে পাঁচ হাজার বহিঃগ্রহ রয়েছে। তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে পৃথিবীর মতো কয়টি গ্রহ এর অস্তিত্ব রয়েছে। বর্তমানে নাসার কাছেও এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর নেই ।
তবে নাসা আশা করছে যে তারা বসবাসযোগ্য কিছু গ্রহের অনুসন্ধান পেতে সক্ষম হবেন। আসলে বসবাসযোগ্য গ্রহ খোঁজার কাজটি কীভাবে করা হয় এটি নিয়ে অনেকের কৌতূহল আছে।
বিজ্ঞানীরা এমন গ্রহ খোঁজার চেষ্টা করছেন যেখানে আবহাওয়া খুব বেশি গরম হবে না বা খুব বেশি ঠান্ডা হবে না। পর্যাপ্ত পানির সরবরাহ থাকবে। সমতল ভূমি যদি বরফের মতো ঠান্ডা থাকে তাহলে তা বসবাসের অনুকূলে হবে না।
বিজ্ঞানীরা আরো জানিয়েছে যে, কোন গ্রহ তারা নিকটবর্তী তারার যত কাছাকাছি থাকবে সে গ্রহ বাসযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা ততই বেশি।
এর আগে বিজ্ঞানীরা জুপিটার এবং নেপচুন নিয়ে আশাবাদী ছিল। তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এ দুটি গ্রহ বসবাসের উপযোগী নয়।
Transiting exoplanet survey satellite (TESS) নামে নাসার একটি স্পেসক্রাফ্ট রয়েছে। এটি দিয়ে গ্রহ অনুসন্ধানের কাজ করা হয়। এর আগে কেপলার স্পেসক্রাফট দিয়ে গ্রহ অনুসন্ধানের কাজ করা হতো। কিন্তু ২০১৮ সালে এটির জ্বালানি শেষ হয়ে যায়।
TESS এর কাজ হচ্ছে মহাকাশের উজ্জ্বল তারাগুলি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা। কোন তারার আলোর উজ্জ্বলতা যদি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়, তাহলে ধরে নেওয়া যেতে পারে যে তার আশেপাশে বাসযোগ্য কোন গ্রহ থাকতে পারে।
যদি তারার উজ্জ্বলতা সবসময় একই রকম থাকে তাহলে তার আশেপাশে বাসযোগ্য কোনো গ্রহ নেই। বিজ্ঞানীরা আশাবাদী যে, তারা পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য গ্রহ খুব শীঘ্রই খুঁজে পাবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।