জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহ ফেনীর সোনাগাজির আহমেদপুর গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন।
আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আসরের নামাজের পর দ্বিতীয় জানাজা শেষে নিজ গ্রাম আহমেদপুরে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহ হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এর আগে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহ ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ক্যাম্পাস সংলগ্ন হাটহাজারী প্রধান সড়কে সিএনজি ও বাসের বিপরীতমুখী সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন। একই দুর্ঘটনায় সিএনজি ড্রাইভারসহ তিন জন ঘটনাস্থলে মারা যান। পরবর্তীতে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহ্কে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম নগরীর জি.ই.সি মোড় সংলগ্ন মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন রাত ১০টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহ ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের হাকিম মৌলভী মজিবুল হকের জৈষ্ঠ পুত্র। ছাত্র জীবন থেকেই মোহাম্মদ শাহ মেধাবী ছিলেন। তিনি নবাবপুর আমিরাবাদ বিসি লাহা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিকুলেশনে (এসএসসি) স্টেন্ড করে পাশ করেন। তৎকালীন বৃহত্তর নোয়াখালীর মধ্যে একমাত্র তিনিই স্টেন্ড করেন এবং সম্মিলিত মেধা তালিকায় তিনি ৩য় হয়েছিলেন। এরপর চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্র জীবন শুরু করেন। সেখান থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়ে পড়াশোনা শেষে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যুক্তরাজ্য হতে সর্বোচ্চ ডিগ্রি পি.এইচ.ডি নেওয়ার সুযোগ করে দেন।
তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিকের ডক্টরেট করা শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম। শিক্ষকতা জীবনে তিনি কবি আলাউল হলের প্রভোষ্ট, ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান, কলা অনুষদের ডিন, চট্টগ্রাম ভাটিয়ারীস্থ সেনাবাহিনীর অফিসার ক্যাডেট একাডেমি তথা বাংলাদেশ মিলেটারি একাডেমির গেস্ট অধ্যাপক হিসেবে বহু ক্যাডেট অফিসারের শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা দান করেছেন।
২০১৭ সালে চাকরির মেয়াদ পূর্ণতা সাপেক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরে যান তিনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই জমি ক্রয় করে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসবাস করছিলেন। সর্বশেষ তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।