গ্লোবাল ট্যুরিজম ফোরামে অংশ নিতে রিয়াদে উপস্থিত হয়েছিলেন পর্তুগিজ ফুটবল কিংবদন্তি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সেখানে এক আবেগপূর্ণ বক্তব্যে তিনি সৌদি আরবের প্রতি নিজের ভালোবাসা ও সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘সৌদি আরব এখন আমার দ্বিতীয় বাড়ি। এখানে কাটানো সময় আমার জীবনের এক অনন্য ও অনুপ্রেরণাদায়ক অধ্যায়।’

রোনালদো বলেন, ‘আমি প্রায়ই সৌদিদের বলি, আমি তোমাদেরই একজন—আমি একজন সৌদি মানুষ।’
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আল নাসর ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর থেকে রোনালদো শুধু সৌদি ফুটবলের ইতিহাস বদলে দেননি, বরং দেশটির ক্রীড়া ও সংস্কৃতির রূপান্তরের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তার ভাষায়, ‘এখানকার ফুটবলের মান দ্রুত উন্নতি করছে। প্রতি মৌসুমেই উন্নতি দেখা যাচ্ছে, আর এই যাত্রার অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত।’
সৌদি প্রো লিগে তার আগমন ছিল এক ঐতিহাসিক ঘটনা। এরপর করিম বেনজেমা, রিয়াদ মাহরেজ, মার্সেলো ব্রোজোভিচ ও সাদিও মানের মতো তারকারাও সৌদি ক্লাবে যোগ দেন।
রোনালদো আরও জানান, তিনি সৌদি আরবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বড় প্রকল্পগুলোর প্রতি আস্থা রাখেন এবং জীবনের বাকিটা সময় এখানেই কাটানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তার সঙ্গী জর্জিনা রদ্রিগেজ ও সন্তানরাও সৌদি সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন।
বড় ছেলে ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র এখন আল নাসরের একাডেমিতে খেলছে এবং সেখান থেকে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব–১৬ দলে জায়গা পেয়েছে।
রোনালদো প্রায়ই সৌদি জাতীয় উৎসব ও উদযাপনে অংশ নিচ্ছেন। গোল করার পর তাকে সৌদি ঐতিহ্যবাহী নাচ ‘আরদা’ ও ‘আগাল’-এ অংশ নিতে দেখা যায়। আল ফাইহার বিপক্ষে তার বিখ্যাত ‘আগাল সেলিব্রেশন’ সৌদি ভক্তদের মনে দারুণ সাড়া ফেলে।
৪০ বছর বয়সেও তিনি দারুণ ফর্মে আছেন। তবে সম্প্রতি রোনালদো জানিয়েছেন, ‘আমি শিগগিরই অবসর নেওয়ার কথা ভাবছি। গত ২৫ বছর ফুটবলের জন্য উৎসর্গ করেছি, হয়তো এক বা দুই বছরের মধ্যে বিদায় নেব। নিশ্চিতভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপই হবে আমার শেষ।’
হাস্যরস মিশিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘যখন বলি ‘শিগগিরই’, তখন হয়তো ১০ বছর পরের কথাই বলছি! অবশ্যই মজা করছি… তবে এই বয়সে এসে বছর নয়, মাস গোনা শুরু হয়ে গেছে।’
রোনালদো শেষে বলেন, ‘আমি এখন জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছি। সৌদিতে কাটানো সময় আমার কাছে সত্যিই বিশেষ।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



