জুমবাংলা ডেস্ক: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, নিজেদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে পৃথিবীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে।
আজ বৃহষ্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, পৃথিবীর স্বাস্থ্য নষ্ট করছে আমেরিকা, চীন, ইউকে বা রাশিয়ার মত বড় ও উন্নত রাষ্ট্র। তারা কার্বনের যত্রতত্র ব্যবহার করা সহ পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখছে। এগুলো করে তারা (উন্নত বিশ্ব) আরো উন্নত হচ্ছে ঠিকই কিন্তু এর প্রভাব বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারনে জলবায়ুর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, পৃথিবীর স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা মুখে বলছি স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। কিন্তু আমরা সেটার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি না। পৃথিবীর স্বাস্ব্য, প্রকৃতির স্বাস্থ্য ভালো না। সারা বিশ্বে উন্নতি হচ্ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরিবেশ, পানি, আবহাওয়া, মাটি সব নষ্ট হচ্ছে। এদিকে সবাইকে নজর দিতে হবে, সচেতন হতে হবে।
বাংলাদেশে বায়ু দুষণ, পানি দুষণ বা শব্দ দুষণের বিষয়টি তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে খাদ্যে ভেজাল মেশানো বা শব্দ দুষণ কিংবা পানি দুষণ বেশি বেড়ে গেছে। রাস্তায় বের হলে চারপাশ থেকে আওয়াজ আসে। এই আওয়াজে মানুষের শ্রবন শক্তি হ্রাস পাওয়া সহ জটিল রোগব্যধি হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। জলবায়ূ দূষিত হওয়ার কারণে আমরা প্রতিনিয়ত অসুস্থ হচ্ছি। বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে, প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারাচ্ছে। এসব কিছুর প্রভাব পড়ছে মানবদেহে। এ থেকে আমাদের সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা প্রমুখ।
সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার বলেন, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ দূষিত বাতাস গ্রহণ করছে। এ কারণে মানুষ হাঁপানি, ফুসফুসের রোগ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছে। তাই প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও পরিবেশে ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত দুই বছরে করোনাকালে সকল মন্ত্রণালয়কে ছাড়িয়ে গেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। করোনা ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম এবং সারাবিশ্বে অস্টম হয়েছে।’
আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনে সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়া, খরা, শব্দদূষণসহ বিভিন্ন কারণে সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ বাড়ছে। নগরায়নের কারণে শব্দদূষণ বেড়েছে। শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগের হার বেড়েছে। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।