উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সীমান্ত পেরিয়ে চীনে প্রবেশ করেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) তিনি একটি বিশেষ ট্রেনে করে চীনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) পৌঁছান। কিমের এই ট্রেনটি শুধু বুলেটপ্রুফ নয়, এতে রেস্তোরাঁ, শোবার ঘর, সম্মেলন ঘরসহ আছে নানা ব্যবস্থা।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে একটি সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দেবেন উত্তর কোরিয়ার এই নেতা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বুধবারের কুচকাওয়াজে যোগদানকারী ২৬ জন বিশ্বনেতার মধ্যে কিমও রয়েছেন।
বেইজিংয়ের এই অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো কিম, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একই স্থানে একত্রিত হবেন।
মঙ্গলবার কিম তার ব্যক্তিগত সাঁজোয়া ট্রেনে করে চীনে প্রবেশ করেন। ট্রেনটির ভেতরে একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে যেখানে সুস্বাদু ফরাসি ওয়াইন এবং তাজা লবস্টারের মতো খাবার পরিবেশন করা হয়।
কিমের যাত্রায় বিশেষ এই ট্রেনটি বেছে নেয়ার কারণ হলো এই ট্রেনের কঠোর সুরক্ষা ব্যবস্থা। যার কারণে এটি ধীর গতিতে চলে এবং যাত্রাও হয় আরামদায়ক।
১৯৫৯ সালের পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতা চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দেবেন।
উত্তর কোরিয়ার এই নেতা খুব কম বিদেশ ভ্রমণ করেন। বিশ্ব নেতাদের সাথে তার সাম্প্রতিক যোগাযোগ কেবল পুতিনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, যার সাথে তিনি রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে দুবার দেখা করেছেন।
তিনি শেষবার ২০১৯ সালে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে বেইজিং সফর করেছিলেন। সেই সময়েও তিনি ট্রেনে ভ্রমণ করেছিলেন।
ট্রেনে ভ্রমণের ঐতিহ্য শুরু করেছিলেন কিমের দাদা কিম ইল সুং – যিনি ভিয়েতনাম এবং পূর্ব ইউরোপে নিজের ট্রেন ভ্রমণ করতেন।
ভারতে নাগরিকত্বের জন্য চেষ্টা করেও দুই বোন রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন
কিমের বাবা কিম জং ইলও ট্রেনে ভ্রমণ করতেন এবং তিনি বিমান চালাতে ভয় পেতেন বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমের মতে, সাঁজোয়া ট্রেনটিতে প্রায় ৯০টি বগি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সম্মেলন কক্ষ, দর্শক কক্ষ এবং শয়নকক্ষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।