নিম্নমানের ইট ব্যবহার করায় রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী

জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর বন্দরের ব্রিজ থেকে খেয়াঘাট পর্যন্ত ইটের রাস্তায় নিম্নমানের ইট ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ মাস পূর্বে উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর বন্দর ব্রিজ থেকে খেয়াঘাট পর্যন্ত ৬০০ ফিট ইটের রাস্তা নির্মাণের জন্য বরগুনা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তর দরপত্র আহ্বান করেন। দরপত্র অনুসারে কাজ পায় বরগুনার মাহি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তিনি গোপনে এ কাজটি পটুয়াখালীর জনৈক শহিদুল ইসলাম নামে অপর একজন ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দেয়। শহিদুল ইসলাম নিম্নমানের ২ ও ৩ নাম্বার ইট দিয়ে ইটের রাস্তাটি করতে থাকে। এতে স্থানীয়রা বাঁধা দেয়। তাদের বাঁধা উপেক্ষা করে ঠিকাদার কাজ চালিয়ে যান।

স্থানীয়দের অভিযোগ কার্যাদেশ অনুযায়ী ঠিকাদার রাস্তা নির্মাণের কাজ করছেন না। রাস্তার নিচে পর্যাপ্ত বালু দিয়ে ইট বিছানোর কথা থাকলেও বাস্তবে ঠিকাদার সেটা করেনি। ১ নাম্বার ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ করার কথা থাকলেও সেখানে ২ ও ৩ নাম্বার ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করছে। রাস্তা নির্মাণের পরে উপরে বালু দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে দেওয়া হচ্ছে মাটি।

বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণের ছবি দিয়ে এলাকাবাসী এজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। বিষয়টি এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি দেখার জন্য এলজিইডি পটুয়াখালী তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় এলজিইডি পটুয়াখালী তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ও আমতলী উপজেলা প্রকৌশলীকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তাটিতে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা ও পর্যাপ্ত বালি না দেওয়ার কারণে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।

আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ হাওলাদার বলেন, কাজের মান খারাপ হওয়ায় এলজিইডি পটুয়াখালী তত্ত্বাবোধায়ক প্রকৌশলী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এসে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।

ঠিকাদার মো. শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, বর্ষার কারণে কাজের মান খারাপ হচ্ছে। রাস্তায় পঁচা ইট দিচ্ছেন কেন জানতে চাইলে তিনি এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, নিন্মমানের কাজ করায় রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।