আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য করতে আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি সতর্ক করে বলেন, নির্বাচনী বিধিনিষেধ লঙ্ঘন হলে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজন অসম্ভব হয়ে পড়বে।

রবিবার (১৬ নভেম্বর) রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সংলাপে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ উর্ধতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন একা নির্বাচনকে সফল করতে পারে না; এজন্য রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, কর্মী এবং সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা অপরিহার্য।
তিনি জানান, নির্বাচনের আচরণবিধির খসড়া দীর্ঘদিন ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত রেখে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের মতামত নেওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে এখন বিধিমালা চূড়ান্ত। সিইসির মতে, “আচরণবিধি সঠিকভাবে পালন করলে নির্বাচন হবে স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ এবং সকলের জন্য গ্রহণযোগ্য।”
সিইসি আরও বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর কমিশনকে সবচেয়ে কঠিন যে কাজটি করতে হয়েছে তা হলো ভোটার তালিকা হালনাগাদ। এ কাজে ৭৭ হাজার মাঠকর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োজিত করা হয়েছে। হালনাগাদ প্রক্রিয়ায় ২১ লাখ মৃত ভোটার শনাক্ত করে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, ৪০ লাখের বেশি নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তির যোগ্য ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “এই বিশাল কাজের মধ্যেও আমরা যথাসম্ভব নির্ভুলতার চেষ্টা করেছি।” এ বছর ইসি প্রথমবারের মতো প্রবাসী এক্সপার্ট ডায়াসপোরার জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা করেছে, যা বিশ্বের অনেক দেশও সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এছাড়া— দায়িত্বে থাকা প্রায় ১০ লক্ষাধিক নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা,সরকারি চাকরিজীবী যারা নিজ এলাকা থেকে দূরে কর্মস্থলে আছেন,এবং কারাবন্দিদের জন্যও বিশেষ ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সিইসি বলেন, সংস্কার কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ৮০টির বেশি সংলাপ করেছে, যা নির্বাচনী ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট দিয়েছে।
তিনি দলগুলোর উদ্দেশে বলেন “আপনারা আচরণবিধি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন এবং আপনার দলের কর্মীদের তা বোঝাবেন। নিয়ম না মানলে নির্বাচন সুন্দর হবে না।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীল আচরণ ও সহযোগিতা পেলে নির্বাচন কমিশন একটি স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে সক্ষম হবে।
প্রথম সেশনে যে ৬ দল অংশ নিয়েছে-
গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি এ ছয়টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা সংলাপে অংশ নিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



