আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কিরগিজস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচন বাতিলের দাবিতে দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। গত রবিবার কিরগিজস্তানে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ভোট কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
এই আন্দোলনের কিছু ফুটেজে দেখা গেছে যে, আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্ট সুরনবই জিনবেকভের অফিসের ভবনের কিছু অংশ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। এছাড়া কিরগিজস্তানের পার্লামেন্টে ঢুকেও ভাঙচুর চালিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
জানা গেছে, কিরগিজস্তানের পার্লামেন্ট সুপ্রিম কাউন্সিল-এর আসন সংখ্যা ১২০টি। দেশটির আইন অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আসন বন্টন করা হয়। তবে পার্লামেন্টে কোনও আসন পেতে গেলে কোনও দলকে ন্যূনতম সাত শতাংশ ভোট পেতে হয়। এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয় কিরগিজস্তানের ১৬টি রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে কেবল চারটি দল পার্লামেন্টে আসন পাওয়ার ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পেরেছে। এর মধ্যে তিনটি দল আবার প্রেসিডেন্ট সরোনবাই জিনবেকভের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত। এদের মধ্যে দুটি দল ২৫ শতাংশ করে ভোট পেয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভোট কেনাবেচা এবং হস্তক্ষেপের দাবি ‘বিশ্বাসযোগ্য’ এবং মারাত্মক উদ্বেগের কারণ।
এমন প্রেক্ষাপটে কিরগিজস্তানের বিরোধী দলগুলো ভোটের ফলাফল স্বীকার না করার ঘোষণা দিয়েছে। ফলাফল বাতিল করতে দেশটির নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিরোধী দলীয় প্রার্থীরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার রাজধানী বিশকেকে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশটির আরও কয়েকটি বড় শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে। বেশ কিছু স্থানে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার গ্যাস ও জল কামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। পুলিশ-বিক্ষোভকারীসহ উভয় পক্ষ থেকেই আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন অন্যতম বিরোধী দলীয় নেতা জানার আকায়েভ।
এদিকে মঙ্গলবার প্রায় ২ হাজারের মতো আন্দোলনারী কিরগিজস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির ভবনের সামনে জড়ো হয় এবং কারাবন্দী সাবেক প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতামবায়েভ ছাড়িয়ে আনেন। একজন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে মুক্তি দেওয়া অভিযোগে আতামবায়েভ ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
রাশিয়াপন্থী আতামবায়েভ এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট সুরনবই জিনবেকভের সম্পর্ক এক সময় ঘনিষ্ঠ ছিলো। তবে ২০১৭ সালের নির্বাচনে জিনবেকভের জয়ের পর আতামবায়েভের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এই বিরোধ মেটাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত বছর শান্তি আলোচনা আয়োজনের চেষ্টা চালালেও আতামবায়েভের গ্রেফতার থামানো যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।