আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘সহজ ভেবেই ভুল হচ্ছে’—এমন মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সামনে দেশের সার্বভৌমত্ব পর্যন্ত হুমকির মুখে পড়তে পারে। গণতন্ত্রকে বাঁচানোর লড়াইয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের এখন থেকেই ঘরে ঘরে যেতে হবে বলেও তিনি আহ্বান জানান।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নতুন করে সতর্ক করে দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, “এক বছর সোয়া বছর আগে বলেছিলাম—সামনের নির্বাচন যা ভাবছেন তা নয়। আজকে আস্তে আস্তে সেই কথাই প্রমাণিত হচ্ছে। এই নির্বাচন যত সহজ ভাবা হচ্ছে, তত সহজ হবে না।”
গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন। বিজয়ের মাস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক ইউনিটগুলোর হাজারের বেশি নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
তারেক রহমান বলেন, এখনো যদি দল সিরিয়াস না হয়, তাহলে সামনে দেশের অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। তিনি বলেন, “এটা একমাত্র বাঁচাতে পারে গণতন্ত্র, আর সেই গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করতে পারেন আপনারা—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ।”
ক্ষমতায় গেলে দলীয় সরকার করা হবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেতে হলে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যেতে হবে। “মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারলে তারা অবশ্যই বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেবে,”—বলেন তিনি।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপির পরিকল্পনাগুলো জানাতে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যেতে হবে। তাহলে নিশ্চয়ই মানুষ বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দেবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দলীয় সরকার হবে না। যারা বিএনপিকে ভোট দিয়েছে, তাদের পাশাপাশি যারা ভোট দেয়নি তাদের জন্যও কাজ করতে হবে। নির্দিষ্ট কারও জন্য কাজ করা যাবে না। তারেক রকমান বলেন, বিএনপি স্বপ্ন দেখাচ্ছে না, বিএনপি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে। নির্বাচনের বেশি সময় নেই। দল যার হাতে ধানের শীষ দিয়েছে, তাঁদের পক্ষে থাকতে হবে। প্রার্থী আসবে, প্রার্থী পরিবর্তন হবে, তবে দল ও আদর্শ রয়ে যাবে। কিছু রাজনৈতিক দল মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের মিথ্যা বলার দরকার নেই। বাস্তবভিত্তিক যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেটা জনগণের কাছে পৌঁছে দিলেই হবে। এই কাজ করা কঠিন। তবে সবাই মিলে চেষ্টা করলে সেটি করা সম্ভব হবে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় দেখলাম, কিছু ব্যক্তি মসজিদে গিয়ে তাদের কথা বলছেন। তারা যদি বলতে পারে, আপনি কেন বলতে পারবেন না? বললে সবাই বলবে, না বললে কেউ বলতে পারবে না। আপনি আপনার এলাকায় সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। সবার বলার অধিকার আছে। আর যদি কোথাও নিয়ম হয়ে থাকে, বলবে না। তাহলে সেই নিয়ম সবার জন্য প্রযোজ্য হবে। কোনো বিশেষ কারও জন্য হবে আর কারও জন্য হবে না, এটা তো হতে পারে না।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সঞ্চালনা করেন যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



