জুমবাংলা ডেস্ক: ‘নির্মল বায়ু আইন’ বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
আজ সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৮তম বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন।
কমিটির সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, জাফর আলম, মোঃ রেজাউল করিম বাবলু, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এবং মোঃ শাহীন চাকলাদার বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে কক্সবাজারের ডুলাহাজরা বালুমহাল, সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর কমপ্লায়েন্স অর্জন না হওয়ায় ইতোপূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অবস্থা, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে শীর্ষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহের নির্বাহীদের নিয়ে পার্লামেন্ট ক্লাবে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থাকরণ, GPEDC এবং UNDRR এর সাথে Cop-২৭ এর সাইড ইভেন্ট আয়োজন, ‘বন সংরক্ষণ আইনের’ সর্বশেষ অবস্থা এবং নারায়নগঞ্জের পরিবেশ দূষণ সম্পর্কেও বিশদ আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে পরিবেশ আইনের বিধানমতে ইটভাটার মাধ্যমে সৃষ্ট বায়ু দূষণকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি কারাদন্ডের বিধান কার্যকর এবং সরকারি সকল অবকাঠামো নির্মাণে ২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ ‘ব্লক-ইটের’ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে করণীয় সম্পর্কে মতামত গ্রহণে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে আগামী সভায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
বৈঠকে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে শীর্ষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহের নির্বাহীদের নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জেলা প্রশাসক, কক্সবাজারসহ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এখন বায়ু দূষণে প্রায়ই শীর্ষ স্থানে থাকলে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে আলাদা কোনো আইন নেই। উদ্যোগ সত্ত্বেও সরকারের পক্ষ থেকে করা যায়নি পৃথক আইন। যদিও ২০১৯ সালে ‘নির্মল বায়ু আইন’ এর খসড়াও প্রণীত হয়েছিল। কিন্তু সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি।
খসড়া তৈরির পর তিন বছরেরও বেশি সময় পার হলেও ‘নির্মল বায়ু বিল-২০১৯’ আলোর মুখ না দেখায় পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে ‘নির্মল বায়ু বিল-২০১৯’ কে আইনে পরিণত করার দাবি জানিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।