জুমবাংলা ডেস্ক : বৈধ কাগজ থাকার পরও সৌদি আরব থেকে ১৭৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গতরাতে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে দেশে আসেন তারা। ফেরত আসা বেশির ভাগ শ্রমিকের অভিযোগ, যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদেরও নতুন করে বৈধ হওয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া পুলিশ আটক করে নির্যাতনেরও অভিযোগ করেন শ্রমিকরা।
ফরিদপুরের রফিকুল ইসলাম ভাগ্য বদলাতে মাত্র দুই মাস আগে সৌদি আরব পাড়ি দিয়েছেন তিনি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি ড্রাইভিং ভিসার কথা বলে দালালের হাতে তুলে দিয়েছিলেন চার লাখ টাকা। কিন্তু গত দুই মাস সেখানে শুধু পালিয়েই বেড়িয়েছেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে বাড়ি ফিরতে নিষেধ করেছে। বাড়িতে ফিরলেও জেল খাটতে হবে। অথচ ফেরত আসা ছাড়া উপায় ছিলো না। প্রতিটি দিন পালিয়ে বেড়িয়েছি।’
বেশির ভাগ শ্রমিকের অভিযোগ তাদের বৈধ কাগজ থাকার পরও পুলিশ তাদের কর্মরত অবস্থায় গ্রেফতার করে দেশে পাঠিয়েছে। যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদেরও নতুন করে বৈধ হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।
শুন্য হাতে ফেরত আসা শ্রমিকরা বর্ণনা দেন গ্রেফতারের পর পুলিশের নির্মম নির্যাতনের। তারা বলেন, ‘পাসপোর্ট ভিসা কিচ্ছু দেখে না। ধরেই জেলে ঢুকিয়ে দেয়। তারপর অকথ্য অত্যাচার।’
বিমান বন্দরে এসব শ্রমিকের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে একটি এনজিও। তারা বলছে সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শ্রমিক দেশে ফিরেছেন। চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত ১৬ হাজারের অধিক সৌদি প্রবাসী শ্রমিক দেশে ফিরেছেন।
ভিডিও : সময় টিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।