আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি মাজিদ তাখতে রাভাঞ্চি বলেছেন, বিশ্বের কয়েকটি দেশ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাকে অন্য দেশগুলোর বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। এই ধরনের অপরাধের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উচিত এসব দেশকে দায়ী করা। খবর পার্সটুডে’র।
মাজিদ তাখতে রাভাঞ্চি (গতকাল) বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আরো বলেন, কয়েক দশক ধরে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান আমেরিকার অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহি এবং বিচার কার্যক্রম জোরদার করার বিষয়ে উন্মুক্ত বিতর্কে অংশ নিয়ে ইরানের প্রতিনিধি এসব কথা বলেন।
রাভাঞ্চি বলেন, আমেরিকার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের বেশিরভাগ বেসামরিক অসুস্থ মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ও ছয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ২০১৫ সালে যে পরমাণু সমঝোতা সই হয়েছিল তা থেকে ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বের হয়ে যান। ওই বছরেই ইরান বিষয়টি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে তোলে এবং সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে ইরানের পক্ষে রায় আসে যে, মানবিক পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে এমন নিষেধাজ্ঞা অবশ্যই তেহরানের ওপর থেকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
গতকালের বিতর্কে মাজিদ তাখতে রাভাঞ্চি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমেরিকা সহযোগিতা করতে শুধু ব্যর্থই হয় নি বরং ওই আদেশ উপেক্ষা করে ইরানের ওপরে আরো নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিশেষ করে করোনা মহামারির সময় এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং চিকিৎসা-সামগ্রীর যোগান নিশ্চিত করতে না পারার কারণে শিশুসহ ইরানের বহুসংখ্যক রোগী মারা গেছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন বিশেষ করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হলেও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।