আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এত বাধ্য পড়ুয়া স্কুলের মাস্টারমশাইরা আগে খুব কমই পেয়েছেন। রোদ, জল, বৃষ্টি যাই হোক, স্কুলের ঘণ্টা পড়লে অন্য পড়ুয়াদের আগে সে এসে ক্লাসে ঢোকে। ছুটির ঘণ্টা পড়লে তবে সব ক্লাস করে বার হয়। মাঝে কোনও ফাঁকি নেই। তবে টিফিন টাইমে মাঝে মাঝে হেড স্যারের টেবিলে গিয়ে বসে থাকে এই যা!
পড়ায় তার খুব মন। সব সময় ফার্স্ট বেঞ্চে বসবে। সামনের সারির একটি বেঞ্চ তার চাই। ক্লাস চলাকালীন মন দিয়ে শোনে মাস্টারমশাই কি পড়াচ্ছেন। কোনও ক্লাসে কোনও বেয়াদবি সে করেছে এমন কোনও মাস্টারমশাই অভিযোগ করতে পারেননি।
এটা এখন ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলার দানাউ গ্রামের ঘটনা। এখানেই রয়েছে একটি সরকারি স্কুল। সেখানেই সপ্তাহ খানেক আগে এসে হাজির হয় বানরটি।
নবম শ্রেণির ক্লাস চলাকালীন সে ঢুকে পড়ে ক্লাসে। বানর দেখে ছাত্ররা হইচই জুড়ে দেয়। ভয়ে সরে যায়। ক্লাস ওঠে লাটে। কিন্তু বানরটি কারও কোনও ক্ষতি না করে শান্তভাবে এসে প্রথম বেঞ্চে বসে পড়ে।
ফাঁকা বেঞ্চটিতে অবশ্য সে একাই বসে। বাকিরা অন্য বেঞ্চে। এরপর ক্লাস শুরু হলে অন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে সেও মন দিয়ে ক্লাস করতে থাকে।
এরপর থেকে প্রতিদিনই সে স্কুল শুরুর সময় ক্লাসে ঢুকে পড়ে। ছুটি হলে বার হয়। তবে কোনও বিশেষ ক্লাস নয়। একটা ক্লাস শেষ হলে অন্য শ্রেণির ক্লাসেও সে পরের ক্লাস করে থাকে।
টিফিনের সময় প্রধান শিক্ষকের টেবিলে মাঝেমধ্যে গিয়ে বসে থাকে। কিন্তু টিফিনের পর ক্লাস শুরু হলে আর দেরি না করে ক্লাসে চলে যায়।
এমন বাধ্য পড়ুয়া বানর নিয়ে স্কুলে এখন আর কোনও সমস্যা নেই। তবে স্কুলের তরফে বন দফতরে খবর দেওয়া হয়েছিল। বন কর্মীরা এসে বানরটিকে ধরারও চেষ্টা করেন। কিন্তু তার নাগাল পাওয়া যায়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।