জুমবাংলা ডেস্ক : ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে পু’ড়িয়ে হ’ত্যার ঘটনায় ১০টি গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে ১০টি ম্যাচের কাঠির পোড়া অংশ।
ফেনীর নারী ও শিশু নি’র্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে আজ বৃহস্পতিবার নুসরাত হ’ত্যা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দ্বিতীয় দিন মামলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাফেজ আহম্মদ আলামত জব্দের বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন। তবে তাঁর যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়নি। অসমাপ্ত বক্তব্য আগামী রোববার উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।
পিপি হাফেজ আহম্মদ আদালতে বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রমাণ হিসেবে ঘটনার পর মাদ্রাসার ছাদসহ বিভিন্ন স্থান থেকে সোনাগাজী থানা-পুলিশ ও পিবিআই কর্মকর্তারা ১০টি গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করেন।
হাফেজ আহম্মদ বলেন, গত ৬ এপ্রিল সকালে পরীক্ষার আগে নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে অগ্নিদগ্ধ করার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে সোনাগাজী থানা-পুলিশের শিক্ষানবিশ উপপরিদর্শক (পিএসআই) ডিএইচএম জহির রায়হান ঘটনাস্থল মাদ্রাসার ছাদে গিয়ে একটি কালো রঙের কেরোসিন মিশ্রিত পলিথিন, একটি সবুজ রঙের সালোয়ারের পোড়া অংশ, বাটিকের ওড়নার পোড়া একটি অংশ, একটি পাথরের পুথির কাজ করা কালো রঙের আগুনে পোড়া বোরকা, এক জোড়া নেভি ব্লু রঙের জুতা, ১০টি ম্যাচের কাঠির পোড়া অংশ ও একটি নীল রঙের রাবারের ম্যাট উদ্ধার করেন।
পুলিশের করা জব্দের তালিকায় বলা হয়, কেরোসিন মিশ্রিত পলিথিন ও পোড়া ম্যাচের কাঠি ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়। ম্যাট সাইক্লোন সেন্টারের নিচ থেকে নুসরাতের গায়ে আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। বাকি আলামতগুলো নুসরাত জাহানের পরনে ছিল।
সরকারি কৌঁসুলি হাফেজ আহম্মদ বলেন, ‘নুসরাতের গায়ে আগুন লাগানোর সময় আসামিদের যাতে চেনা না যায়, সে কারণে শাহাদাত হোসেন শামীম, সাইফুর রহমান মো. জোবায়ের ও উম্মে সুলতানা পপি ওরফে তুহিন ওরফে চম্পা ওরফে শম্পা বোরকা ব্যবহার করেন। বোরকাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। তা ছাড়া শাহাদাত হোসেন শামীম বাজারের যে দোকান থেকে কেরোসিন কেনেন, সেটাও শনাক্ত কারা ও জব্দ করা হয়েছে। শামীমের মোবাইলটিও জব্দ করা হয়।’ সূত্র- প্রথম আলো
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।