জুমবাংলা ডেস্ক : জানাজা ছাড়াই মুসলিম পরিবারের ছেলে আঁখি (১৭) কিশোরকে নেচে-গেয়ে মরদেহ দাফনের ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পশ্চিম-দক্ষিণ ফিলিপনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে নেচে-গেয়ে মরদেহ দাফনের দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি যেমন ভাইরাল হয় তেমন এলাকাতে চরম সমালোচনা শুরু হয়।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ব্ল্যাড ক্যান্সারে ভুগছিল ওই গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে আঁখি। বাবার সঙ্গে আঁখি রাজধানীর ফুটপাতে হকারি করত। সম্প্রতি সে অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন তারা। রোববার বিকেলে নিজ বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, মৃত্যুর পর মহসিন আলী তার ছেলের মরদেহ একই এলাকার ফকির শামীম রেজার হাতে তুলে দেন। পরে ফকির শামীম রেজা তার লোকজন নিয়ে নেচে-গেয়ে আঁখির মরদেহ দাফন করেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, স্থানীয় মুসলিমরা এর বিরোধিতা করলেও শামীম রেজা ফকির ও তার অনুসারীরা এতে কান দেয়নি। পরে দাফনের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দিলে সেটি ভাইরাল হয়। অনেকেই শামীম রেজা ফকিরকে ভণ্ড আখ্যায়িত করে তার শাস্তির দাবি করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শামীম রেজা ফকির গোলাম-এ-বাবা কালান্দার জাহাঙ্গীর সুরেশ্বরীর অনুসারী। নিজ বাড়িতে তার একটি আস্তানাও রয়েছে। ভক্ত অনুসারীদের নিয়ে তিনি সেখানেই সময় কাটান। গোলাম-এ-বাবা কালান্দার জাহাঙ্গীর সুরেশ্বরী অনুসারীদের কেউ মারা গেলে জানাজা ছাড়াই নেচে-গেয়ে মরদেহ দাফন করা হয়।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে কোনো ধরনের অভিযোগ পাননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।