জুমবাঙলা ডেস্ক : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, কোনো জাতি সত্যিকারভাবে উন্নত হতে পারে না, যদি তার নৈতিক ভিত্তি দুর্বল হয়।
আজ ঢাকার পূর্বাচলে অবস্থিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্রাক এর ১৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষা উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, গ্র্যাজুয়েটরা সততার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা দেখিয়ে দিয়েছে যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুধু ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবে না সমাজের ভালো কিছুর জন্যও এগিয়ে আসে।
তিনি বলেন, পেশা বেছে নেওয়ার সময় শুধু অর্থ বা সুনামের দিকে না তাকানোর পরামর্শ দেন শিক্ষা উপদেষ্টা। যে কাজটিতে শিক্ষার্থীরা মজা পান সেটিকে পেশা হিসেবে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের নৈতিক মান বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেন।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রতিপ্রাদ্য ছিল ‘এক্সিলেন্স ইন ইউ’।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংবাদিক শারমিন ওবায়েদ চিনয়।
তামারা হাসান আবেদ বলেন, টেকসই পরিবর্তনের জন্য নৈতিক নেতৃত্ব, সংবেদনশীল মানুষ তৈরি এবং অন্যদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জীবনকে শুধু বস্তুগত চাহিদার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, সমষ্টিগত উপলব্ধির মাধ্যমে গ্লোবাল সাউথের জন্য নতুন পথ তৈরি করতে হবে।’
সমাবর্তনে ভাইস-চ্যান্সেলর ফারহাত আনোয়ার বলেন, পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং এটি আত্মিক ও ব্যক্তিগত বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়। সুতরাং পরিবর্তনকে মেনে নিতে হবে। বড় পরিবর্তনগুলো স্বাভাবিক হতে সময় নেয়, কিন্তু মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ধরে রাখলে তা সমাজের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে, শিক্ষা উপদেষ্টা প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক প্রদান করেন। ভাইস-চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক তুলে দেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার।
এবারের সমাবর্তনে ৪ হাজার ৮২৯ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২ জনকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক এবং ২৮ জনকে ভাইস-চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
শারমিন ওবায়েদ চিনয় তার বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের নিজেদের বিশ্বাস ধরে রাখতে এবং মনের কথা শুনতে আহ্বান জানান।
তিনি সবাইকে জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দেন। ‘ব্যর্থতাই সাফল্যের পথ তৈরি করে দেয় কারণ একটা পথ বন্ধ হলে প্রকৃতির নিয়মেই আরেকটা পথ খুলে যায়। তিনি গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেন যে, সবার কথা শোনা এবং নির্ভয়ে ন্যায়ের পক্ষে কথা বলা প্রয়োজন। সাহসের সঙ্গে নিজের মত প্রকাশ করা অত্যন্ত জরুরি।’
সমাবর্তনে ভেলিডিক্টোরিয়ান বক্তৃতা করেন, চ্যান্সেলর স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী শিহাব মুহতাসিম।
তিনি বলেন,সত্যিকারের সাফল্যের জন্য যেকোনো কাজে আনন্দ খুঁজে পাওয়া জরুরি। ছোট ছোট দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।