নৌকা প্রার্থীর গাড়িবহরে দলীয় প্রতিপক্ষের হামলা, আহত ৩০

জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনার বেড়া উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রেজাউল হক বাবুর গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর ও ৩০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বেড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার সিএন্ডবি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় ৪৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ দুলাল জানান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু ও তার ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি আব্দুল বাতেনের সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

আব্দুর রশিদ দুলাল বলেন, ‘বেড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের মৃত্যুতে শূন্য আসনে গত শুক্রবার জাতসাখিনী ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবুকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকা থেকে এলাকায় ফিরে আসেন তিনি। পরে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আব্দুল কাদেরের কবরস্থান জিয়ারত করতে যান। পথে শামসুল হক টুকু ও তার ভাই আব্দুল বাতেনের সমর্থক ময়ছের ও চৌদ্দর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘রেজাউল হক বাবুর গাড়িসহ ৫৫টি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়।’ তবে এ ঘটনায় রেজাউল হক বাবু অক্ষত রয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন,আলফু খান, বাঁধন শেখ, মিরাজ হোসেন, তারেক, আলী ড্রাইভার, জুলহাস, আওয়াল মাস্টার, মনছের মোল্লা, আজাদ মুন্সী, স্বাধীন, আলমাছ, আলমগীর, শান্তসহ ৩০ জন।

মনোনয়নপ্রাপ্ত রেজাউল হক বাবু বলেন, ‘বড় দল হিসেবে দলের অভ্যন্তরে মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতেই পারে। কিন্তু সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অমান্য করে এমন হামলা মেনে নেওয়া যায় না। কাপুরুষোচিত এই হামলার বিচার দাবি করছি ‘

এ বিষয়ে বেড়া সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার শেখ জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজনের উপর কতিপয় দূর্বৃত্ত হামলা চালিয়েছে। কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর সাথে কথা বলতে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।