জুমবাংলা ডেস্ক: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদীর নাব্যতা এবং স্বাভাবিক গতি প্রবাহ অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার টাস্কফোর্স গঠন করেছে। প্রভাব খাটিয়ে নদী দখল করা যাবে না। খবর বাসসের।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৯ সালে প্রথম নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম শুরু করেছিল। পরবর্তিতে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এলে সে কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।’
প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার বসিলায় পুনরুদ্ধারকৃত তুরাগ নদীর চ্যানেল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে গাবতলী ল্যান্ডিং স্টেশনে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন।
এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আবদুস সামাদ এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান এম মাহবুব উল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০০৯ সালে নদী রক্ষায় টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল। টাস্কফোর্স ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ অনেক কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী রক্ষায় বদ্বীপ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বা প্রভাব খাটিয়ে নদী দখল করা যাবেনা। নদী দখলকারিদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, শুধু নদী দখল নয়, যেকোন ধরণের দখল ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স দেখিয়ে যাব। অবৈধ দখল উচ্ছেদে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। নদী রক্ষা ও দূষণরোধে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন কাজ করছে। বিআইডব্লিউটিএ অপারেশনাল কাজে যুক্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে রক্ষা, নদীর দখলরোধ ও দূষণের হাত থেকে রক্ষায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হাঁটছি। একটা দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করেছি, আশা করছি লক্ষ্যে পৌঁছব। নদী দখল, দূষণরোধ ও নৌপথ খননের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয় তৈরি হয়েছে। সামনের দিকে কাজে আরো গতিশীলতা আসবে। নদী তীর দখল ও দূষণরোধে উচ্ছেদ কার্যক্রমে জনমত সৃষ্টিতে গণমাধ্যমকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
প্রায় ১৪ একর পরিমাণ নৌচ্যানেলটি দখল করে আমিন-মোমিন হাউজিং গড়ে উঠেছিল। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর পুরোটাই উচ্ছেদপূর্বক খনন করে পুনঃউদ্ধার করেছে। চ্যানেলটি দখলের কারণে নৌযানগুলোকে ওয়ানওয়েতে (একমুখি) চলতে হতো। এখন (দ্বিমুখি) টুওয়েওতে নৌযান চলছে।
সারাবছর নাব্যতা সংরক্ষণের জন্য উক্ত চ্যানেলটি খনন করা হয়েছে। নৌচলাচল সহজ করতে চ্যানেলটি পুনঃউদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএ ৬ মার্চ থেকে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করে।
৫ জুলাই পর্যন্ত ১১৯ দিনে পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ঘনমিটার মাটি খনন করে চ্যানেলটি খুলে দেয়া হয়। বর্তমানে চ্যনেলটির দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ২০০ ফুট এবং পাশে ২৫০-৪০০ ফুট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।