পদ হারাতে পারেন জায়েদ খান, সিদ্ধান্ত শীঘ্রই

বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তবে এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোসণার পর থেকেই নির্বাচনে অনিয়ম ও জায়েদ খান ও তার প্যানেলের কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ করেন আরেক সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ। এরপর এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের পদ বাতিলের আবেদন করেছিলেন নিপুণ। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের কাছে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা এসেছে।

ঢাকা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. রকনুল হক সাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসারে নির্বাচনের আপিল বোর্ড চূড়ান্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত। অর্থাৎ এখন আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপরেই নির্ভর করছে জায়েদ ও চুন্নুর পদ।

অভিনেত্রী নিপুণের দাবি, জায়েদ খান ভোট কিনেছেন। এ ছাড়া বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সবাই কাজ করেছেন জায়েদের পক্ষে। নির্বাচনের দিন থেকেই এ অভিযোগ করে আসছিলেন তিনি। ফল প্রকাশের পর ১৩ ভোটে হেরে যাওয়া নিপুণ একটি ভিডিও জনসম্মুখে প্রকাশ করেন। সেই ভিডিওতে জায়েদ ও তার প্যানেলের কার্যকরী সদস্য পদে বিজয়ী চুন্নুকে ভোটারদের টাকা দিতে দেখা গেছে বলে জোর দাবি জানান নিপুণ। এর পর থেকেই এ নিয়ে চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

জায়েদ ও চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন নিপুণ। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের দিকনির্দেশনা চেয়েছেন সোহানুর রহমান। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দেয়া এক চিঠিতে এই দিকনির্দেশনা চেয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতর জানিয়েছে, ১৯৬১ সালের সেচ্ছাসেবী সংস্থা নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৬১-এ বলা আছে, এই প্রতিষ্ঠানের আওতায় নিবন্ধিত কোনো সংস্থা বা সংগঠনের নির্বাচন নিয়ে তদন্তে যদি অনিয়ম পাওয়া যায়, তাহলে কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের ব্যবস্থা আছে। গঠনতন্ত্রে যদি সমাধান পাওয়া না যায়, সে ক্ষেত্রে আইনের দ্বারস্থ হওয়া যাবে।

এ বিষয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, আপিল বিভাগের পুনর্গণনা শেষে নিপুণ তার পরাজয় মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করে গেছেন। নির্ধারিত সময়ের পরে এ আবেদন মন্ত্রণালয়ের যেতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ প্রক্রিয়ায় হয়েছে।

‘কোনো ভক্ত নেই কেন’-প্রশ্নে যা বললেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান