২০১৩ সালে ‘হিগস বোসন’ নিয়ে গবেষণার জন্য পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান যুক্তরাজ্যের পদার্থবিদ পিটার হিগস ও বেলজিয়ামের ফ্রাঙ্কোই অ্যাংলার্ট। গত শতাব্দীর ষাটের দশকে যুক্তরাজ্যের গবেষক পিটার হিগস ও অন্যান্য আরও কজন বিজ্ঞানী পদার্থের ভর সৃষ্টিকারী অতিক্ষুদ্র নতুন এক কণার সম্ভাবনার কথা বলেন। কণাটি ‘গড পার্টিকেল’ বা ‘ঈশ্বর কণা’ নামেও পরিচিতি। ২০২১ সালে কণাটি শনাক্ত করেন সার্নের বিজ্ঞানীরা।
এক ইন্টারভিউতে পিটার হিগস বলেন, ১৯২০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে কোয়ান্টাম মেকানিকসের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। তাঁর সম্পর্কে আমি কৌতূহলী ছিলাম। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের কথা উঠে এলেই বারবার তাঁর নাম ঘুরে-ফিরে আসত। এই কৌতূহল থেকেই আমি পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞান (অ্যাটমিক ফিজিকস) ও কোয়ান্টাম তত্ত্ব সম্পর্কে পড়তে শুরু করি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে, জাপানে বোমা ফেলার কিছুকাল পরেই আমার হাইস্কুল অধ্যায় শেষ হয়। তখন ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানের দুই অধ্যাপক কিছু পাবলিক লেকচারের আয়োজন করেন। একজন ছিলেন তাত্ত্বিক, আরেকজন ছিলেন পরীক্ষণবিদ বা এক্সপেরিমেন্টালিস্ট। আমি তখন কিছু লেকচার শুনতে গিয়েছিলাম। যুদ্ধের বোমা তৈরির প্রেক্ষাপট কী ছিল, তা জনসাধারণকে জানানোর জন্য এসব বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।
দারুণ সফল বক্তৃতা সিরিজ ছিল সেটা। পরীক্ষণ-পদার্থবিদের নাম ছিল সিসিল পাওয়েল। তিনি এক্সপেরিমেন্টাল কণাপদার্থবিজ্ঞানে কাজ করতেন। সেই সময়ে এ ধরনের পরীক্ষার জন্য বেলুনের সাহায্যে বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে ফটোগ্রাফিক ইমালশনের প্যাকেজ পাঠানো হতো।
যখন পুরস্কার ঘোষণা করা হয়, তখন আমি বাড়িতে ছিলাম না। ইচ্ছা করেই বাইরে ছিলাম। নোবেল ফাউন্ডেশন বা একাডেমির কাউকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছিলাম না। তবে গণমাধ্যমের দৃষ্টি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছিলাম। আমার ধারণা ছিল, ওরা আমাকে দ্রুতই অনুসরণের চেষ্টা করবে। পুরস্কারের ঘোষণা হয়তো সকাল সাড়ে এগারোটায় দেওয়ার কথা। আমি সকাল এগারোটায় বেরিয়ে পড়লাম। দুপুরের খাবারের জন্য চলে গেলাম এডিনবার্গের বন্দর এলাকায়। তারপর একটা চিত্রকর্ম প্রদর্শনীতে গেলাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।