জুমবাংলা ডেস্ক : দুর্গোৎসবে মেতেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সবচেয়ে বড় এই উৎসব ঘিরে নানা রঙে সেজেছে পূজামণ্ডপগুলো। বৈচিত্র্যময় সাজসজ্জা আর দৃষ্টিনন্দন প্রতিমা আকৃষ্ট করছে ভক্তদের। এর মধ্যে কিছু ব্যতিক্রম সজ্জা সহজেই নজর কাড়ছে সবার। এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শেরপুরের একটি মণ্ডপ সাজানো হয়েছে সম্পুর্ন পদ্মা সেতুর আদলে। আর এই ভিন্নধর্মী আয়োজন দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়। তবে শেরপুর পৌর শহরের বাগবাড়ি বয়েজ ক্লাবের উদ্যোগে বানানো এই সেতু।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুরের প্রতিটি মহল্লায় শারদীয় দুর্গোৎসব মহাধুমধামে চলছে। তবে ভিন্ন আয়োজন শেরপুর পৌর শহরের বাগবাড়ি বয়েজ ক্লাব মণ্ডপে। প্রাচীন এই মন্দিরে প্রতি বছরই ভিন্ন ভিন্ন চলমান বিষয়ের সঙ্গে মিল রেখে সাজানো হয় মণ্ডপ। বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনার আদলে মণ্ডপ সাজিয়ে আলোচনায় এসেছেন এখানকার কারিগর সনজিত সূত্রধর। এবার স্ত্রীর অনুপ্রেরণায় পুকুরের ওপর তৈরি করেছেন স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সনজিত সূত্রধর পেশায় ব্যবসায়ী। ফুল ও ককশিট দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের সাজ সজ্জার পণ্য তৈরির কাজ করেন তিনি। শেরপুরে মা-মনি ফুল সাজ সজ্জা ঘর নামে একটি দোকান রয়েছে তার।
সনজিত সূত্রধরের স্ত্রী বলেন, প্রতি বছরই স্থানীয়ভাবে বাগবাড়ি বয়েজ ক্লাবের উদ্যোগে জলের ওপর আমরা কিছু তৈরি করি। গত বছর আমরা করোনা ভাইরাস বানিয়েছিলাম। তার আগে পানসী নৌকায় মণ্ডপ করেছিলাম।তিনি আরও বলেন, এবারও আমার স্বামী যখন আমাকে কিছু তৈরির কথা বললো, তখন আমি তাকে পদ্মা সেতু বানাতে বলেছিলাম। সে ভয় পেলেও আমার অনুপ্রেরণায় এক মাসের পরিশ্রমে এই পদ্মা সেতু তৈরি করেছে।কারগির সনজিত সূত্রধর বলেন, স্ত্রীর কথায় প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। তারপর সাহস করে শুরু করি। ইতোমধ্যে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, তবে এখনো কিছু হিসেব বাকি আছে।
বাগবাড়ি বয়েজ ক্লাব মন্দিরের সভাপতি বিজয় দে বাবন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমাদের এই প্রাচীন মন্দিরে আমরা প্রতি বছরই ভিন্ন কিছুর আয়োজন করি। কিন্তু আমাদের মন্দিরটি এখনো উন্নয়ন হয়নি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের মন্দিরের জন্য আর্থিক সহযোগিতা চাই। যাতে আমাদের মন্দিরটা একটু উন্নতি হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।