জুমবাংলা ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে বড় পাঙাশ। চার থেকে ১৫ কেজি ওজনের পাঙাশ মিলছে নদীতে। তবে ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের পাঙাশের সংখ্যা বেশি। ইলিশ রক্ষা অভিযানের পর বেশি পাঙাশ ধরা পড়ায় জেলেরা খুশি। ক্রেতারাও কমে কিনতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় জেলেরা জানান, লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলা এবং শরীয়তপুরের টার্নিং পয়েন্টে পদ্মা নদীতে বড় আকৃতির পাঙাশ ধরা পড়ছে বেশি। এর বেশির ভাগই লৌহজংয়ের মাওয়া মৎস্য আড়তে আনা হচ্ছে। জেলেদের কাছ থেকে কিনে আড়তের মালিকরা সেসব মাছ পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন।
জেলের জালে চার-পাঁচটি থেকে শুরু করে ১০-১৫টি পর্যন্ত পাঙাশ ধরা পড়ছে। ১৫ দিন ধরে উপজেলার মাওয়া মৎস্য আড়তে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক পাঙাশ উঠছে। দামও তুলনামূলক কম। প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে প্রতি কেজি এক হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। দাম নাগালের মধ্যে থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে মাছ কিনতে আসছেন। অনেকে আসছেন দেখতে।
গতকাল বুধবার সকালে মাওয়া মৎস্য আড়তে জেলে জমির মিয়া জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবার নদীতে পাঙাশের সংখ্যা বেশি। রোববার রাতে তিনি পেয়েছিলেন ১৮টি পাঙাশ। জেলে মোয়াজ্জেম হোসেন, আবদুর রহিম, বিল্লাল হোসেন, কাইউম খানের ভাষ্য, ইলিশ রক্ষা অভিযানের পর পাঙাশ ধরা পড়ায় তাঁদের ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে।
আড়তদার মো. জালাল মৃধা বলেন, জাটকা ইলিশের মতো পাঙাশের পোনা নিধন বন্ধ করা গেলে ভবিষ্যতে এর চেয়ে বেশি ও আকারে বড় পাঙাশের দেখা মিলবে। ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে মাছ কিনতে আসা মিরাজুল ব্যাপারী বলেন, পদ্মায় অনেক পাঙাশ ধরা পড়ছে- খবর শুনে চলে এসেছেন। দামও আগের চেয়ে কম। তা ছাড়া তাজা মাছ কেনাও বড় ব্যাপার।
উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর ইলিশের প্রজনন মৌসুমের পর নদীতে পাঙাশ মাছের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। পাঙাশের পোনা বিক্রি বন্ধে চেষ্টা করা হচ্ছে। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।