পরিচালক-প্রযোজকদের ফাসিয়ে উধাও ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। কয়েক মাস ধরে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে। কই আছেন, কী করছেন কেউই জানেন না! নিকটাত্মীয়রাও তার খবর দিতে অপারগ।
পপির এই আড়ালে চলে যাওয়া নতুন নয়। তবে এমন দীর্ঘ আত্মগোপনে আগে কখনও যাননি পপি। শাকিল খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল যখন, সে সময়ও আত্মগোপন করেছিলেন তিনি। তবে তার মেয়াদ ছিল অল্প কিছুদিন। এবারে কোথায় লুকালেন তিনি! প্রায় ছয় মাস ধরে হন্যে হয়ে তাঁকে খুঁজছেন তাঁর প্রযোজকেরা।
বারিধারার বাসায় নেই। বেশ কিছুদিন ধরে মোবাইল নম্বরও বন্ধ। এমনকি যে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সরব থাকতেন সব সময়, সেটাও এখন নিষ্ক্রিয়। বন্ধু, সহকর্মী, সংবাদকর্মী—কেউই তাঁর নাগাল পাচ্ছেন না।
তার এই অন্তর্ধানে গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। পপি বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন-এমন গুঞ্জন বহুদিনের। এবার শোনা যাচ্ছে ঢালিউড নায়িকা মা হতে চলেছেন। এ কারণেই নিজেকে আড়ালে রেখেছেন। বিয়ের কথাই স্বীকার করেননি, সন্তান সম্ভবা হওয়ার কথা কী করে বলেন? এ কারণেই নিকটাত্মীয়দেরও থেকে দূরে পপি।
পপির নিকটাত্মীয় ঢালিউডের বিউটি কুইন মৌসুমী। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো বোন। সেই সূত্রে নায়ক ওমর সানি পপির দুলাভাই। শুধু তাই নয়, পপির প্রথম সিনেমা কুলির নায়কও সানি।
সানি-মৌসুমীর পরিবারও কিছু জানে না পপির অন্তর্ধান নিয়ে। কয়েক মাস হলো, পপির সঙ্গে যোগাযোগ নেই। এমনকি মৌসুমীর ছেলে ফারদিনের বিয়েতেও আসেননি। এ বিষয়ে ওমর সানি বলেন, ‘ফারদিনের খুব ইচ্ছা ছিল, বিয়েতে পপি খালা থাকবে। কিন্তু কোনোভাবেই তার সন্ধান পাইনি। তাকে না পেয়ে ছেলের বিয়ের সময় মৌসুমী কেঁদেছে।
তবে পপির বিয়ের গুজব নিয়ে কিছু বলতে চাননি ওমর সানি। ‘এ ব্যাপারে কিছুই বলব না। বিয়ে করুক বা না করুক, যেখানেই থাকুক, সে যেন সুখে থাকে, ভালো থাকে। তবে আত্মীয় হিসেবে আমাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ রাখা উচিত ছিল।’
পপির দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও কাছের বন্ধু নায়ক ফেরদৌস। পপির সঙ্গে তার শেষ দেখা হয়েছে ফিল্ম ক্লাবের নির্বাচনের সময়। ফোনে কথা হয়েছে, সে–ও মাস তিনেক। তার বিয়ের ব্যাপারটি তিনিও জানেন না। ফেরদৌস বলেন, ‘বিয়ের খবর লোকমুখে শুনেছি। পপি আমার ভালো বন্ধু। কিন্তু তার ব্যক্তিগত অনেক কথা আমাকে না–ও বলতে পারেন। মাস তিনেক আগে বারিধারায় তার নতুন ফ্ল্যাট কেনার খবর দিয়েছিলেন ফোনে। বলেছিলেন, বাড়িটি সুন্দর করে সাজাবেন—এতটুকুই।
পপির খবর নিতে গত শুক্রবার তাঁর বাবা আমির হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। খুলনা থেকে তিনি বলেন, ‘পপি ঢাকাতেই আছে।’ পপির বিয়ে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমিও তেমনই শুনেছি। এর বেশি আমার জানা নেই।’
‘ভালোবাসার প্রজাপতি’তে সর্বশেষ ২০২০-এর জুনে কাজ করেন পপি। ছবিটির প্রায় ২০ শতাংশ কাজ এখনও বাকি। শেষ করতে আরও দুদিন শুটিং করতে হবে। তার বাসায় গিয়ে ফিরে এসেছেন ছবির এক পরিচালক মাসুমা তানি।
পপির সহকর্মী ও ভক্তদের প্রত্যাশা, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই অভিনেত্রীর জীবনে যা–ই ঘটুক না কেন, তিনি শিগগিরই ফিরবেন সবার মাঝে, করবেন সব জল্পনাকল্পনার অবসান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।