জুমবাংলা ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গার নতুন যাবদপুর গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা রহস্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্মোচন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত দুজন আসামিকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা চত্বরে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ানের নতুন যাদবপুর গ্রামের উথান আলির ছেলে প্রধান আসামি মামুন হোসেন (২৭) ও তার সহযোগী একই গ্রামের রাব্বি (১৭)।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক বলেন, ‘পরকীয়ার জেরে প্রবাসীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার আয়না খাতুনকে হত্যা করেছে প্রেমিক মামুন মণ্ডল। ভিকটিমের বাড়ির একটি ধারালো ছুরি এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছে। হত্যার আগে মামুন কৌশলে একই এলাকার কিশোর রাব্বিকে দিয়ে সরবতের সাথে জেসমিনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন। পরে মধ্য রাতে পাইপ বেয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করেন মামুন। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হয়ে বলা যাবে। হত্যার পর অভিযুক্ত মামুন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে নিহতের বড় ভাই আব্দুর রউফ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি, কাচের গ্লাস, মোবাইল ফোন, ট্যাব ও রক্ত মাখা পোশাক উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন যাদবপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী জেসমিন আক্তার আয়নাকে দুর্বৃত্তরা নিজ ঘরে গলা কেটে হত্যা করে। বুধবার নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় নিজ গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয়। ঘটনার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মামুন মণ্ডল ও রাব্বিকে যাদবপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।