জুমবাংলা ডেস্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য দলের বা সরকারের নয়। এটি তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু হলেও ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তাদের অনুরোধ করতে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর পলাশী মোড়ে ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারত আমাদের বন্ধুদেশ, ভারতের সঙ্গে আমরা বৈরিতা চাই না। ভারতের সঙ্গে বৈরিতা করে পঁচাত্তরের পর আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। যে সংশয়-অবিশ্বাসের সম্পর্ক, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর সে অবিশ্বাস-সংশয়ের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে, শেখ হাসিনার সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে আমি বলতে চাই, ভারত আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। ভারত আমাদের সুসময়ের বন্ধু। একাত্তরের রক্তের বন্ধনে আমরা আবদ্ধ। কিন্তু তাই বলে আমরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ করব, এ ধরনের কোনো অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না, করেনি। শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষ থেকে কাউকে দায়িত্ব ও দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজমান। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে বহু দিনের সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের ছিটমহল বিনিময় হয়েছে। কয়েকটি সমস্যার অগ্রগতি আসবে। সেপ্টেম্বরে আরো কিছু বিষয়ে সমাধান হবে।
শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোনো সাম্প্রদায়িক হামলা হয়নি, জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর সরকার, এই সরকার সংখ্যালঘু বান্ধব সরকার। ইদানীং যারা মন্দিরে হামলা করে, তারা দলের নয়, দুর্বৃত্ত। তারা সবার শত্রু। এদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজেদের সংখ্যালঘু ভাববেন না। সমান অধিকার আছে আপনাদের। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের মুখে মায়া কান্না মানায় না। আমরা আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব।
শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করেছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।