জুমবাংলা ডেস্ক : পরিবহন ধর্মঘটের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। তিনি বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতি একটি বেসরকারি সংগঠন। এ সংগঠনে বিএনপি জাসদ বাসদ জাতীয় পাটি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ রয়েছেন। তারা সকলে মিলে পরিবহন সমিতি বা মালিক-শ্রমিক সমিতি গড়ে তুলেছেন। নানাবিধ কারণে তারা ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা হচ্ছে তাদের নিজস্ব বিষয়। এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রামের জনসভার স্থান ও প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবেম মন্ত্রী এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষক লীগ সভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমানসহ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মালিক শ্রমিকদের ধর্মঘটের অন্যতম কারণ বিএনপি সমাবেশের ডাক দিলে মালিক শ্রমিকরা ভয় পায়। অতীতে ২০১৩-১৪ সালে তারা বাস ট্রাক পুড়িয়েছে। সমাবেশের সময় বাস ট্রাকের ওপর হামলা করেছে। জনগণের সম্পত্তির ওপর হামলা করে তা ধ্বংস করেছে। সে আতংক থেকে মালিক শ্রমিক ইউনিয়ন ধর্মঘট ডাকতে পারে। এতে সরকার বা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোনো হাত নেই।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কয়েকদিন আগে একই স্থানে বিএনপি বিভাগীয় বৈঠক করে। সে সমাবেশে তেমন লোক হয় নাই। মাঠের দুই তৃতীয়াংশ খালি ছিল। চট্টগ্রামের জব্বারের বলি খেলায়ও এর চেয়ে বেশি মানুষ হয়। তিনি বলেন, আগামী ৪ ডিসেম্বরের সমাবেশে প্রকৃতপক্ষে লাখ লাখ লোকের সমাগম হবে। পলোগ্রাউন্ড মাঠ ছাপিয়ে তা বহুদুর বিস্তৃত হবে। মন্ত্রী এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।