পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে ১০০টি সেলুন লাইব্রেরি

জুমবাংলা ডেস্ক : পরীক্ষামূলকভাবে সারা দেশে ১০০টি সেলুন লাইব্রেরি চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ‌্য জানান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত মুজিব শতবর্ষে শত গ্রন্থাগারে ‘পড়ি বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ হই’ শীর্ষক ধারাবাহিক পাঠ কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন কোনো সেলুনে যাই, তখন অবসর সময়ে হাতের নাগালে যা কিছু পাই, তা পড়ার চেষ্টা করি। এতে আমাদের সময় যেমন সুন্দর কাটে, তেমনি আমরা জ্ঞানে সমৃদ্ধ হই। সে বিষয়টি বিবেচনা করে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে সারা দেশে ১০০টি সেলুন লাইব্রেরি চালু করা হয়েছে। উদ্যোগটি আপাতত দৃষ্টিতে ক্ষুদ্র মনে হলেও এটা কার্যকর, ফলপ্রসূ ও সুবিশাল।’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যখনই সময় পেতেন, তখনই বই পড়তেন। এমনকি কারাগারে তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিল বই।’ তিনি আরও বলেন, ‘বইয়ের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক গড়তে হবে। নতুন টাকার গন্ধ যেমন আমাদের আকর্ষণ করে, তেমনি নতুন বইয়ের গন্ধও আমাদের আকৃষ্ট করে।’

প্রতিমন্ত্রী জানান, আইসিটি বিভাগের সহযোগিতায় লাইব্রেরি ডিজিটালাইজ করার একটি সমন্বিত প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হলে লাইব্রেরি থেকে তথ্য সেবা নেওয়া-দেওয়ার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন হবে। এর মাধ্যমে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের অধীন ৭১টি সরকারি গ্রন্থাগার, আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের অধীন জাতীয় গ্রন্থাগার, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এবং বিভিন্ন বেসরকারি গ্রন্থাগার এক নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে।’

অনুষ্ঠানে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত ধারাবাহিক পাঠ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ১০০টি পাঠাগারের প্রত্যেকটিকে ৩ হাজার টাকা করে মোট তিন লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সিমিন হোসেন রিমি এমপি, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক এবং বেসরকারি গ্রন্থাগার প্রতিনিধি ও দনিয়া পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর।