পর্ব ০২: SEO শুরু করতে যেরকম পরিকল্পনা ও কৌশল প্রণয়ন দরকার

পরিকল্পনা ও কৌশল প্রণয়ন

কাস্টোমার, প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান ও টার্গেট অডিয়েন্স নিয়ে জানাটা যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি  আপনার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পারফরম্যান্স কেমন সেটা বোঝাও  গুরুত্বপূর্ণ।

পরিকল্পনা ও কৌশল প্রণয়ন

আপনাকে বেঞ্চমার্ক পদ্ধতির উপর নির্ভর করতে হবে। কতটুকু পারফরম্যান্স করলেন, আর কতদূর যাওয়া বাকি সেটা বোঝার জন্য বেঞ্চমার্ক করা গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে Compare করলে প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পারফরম্যান্স কেমন সেটা উপলব্ধি করা সম্ভব।

নিয়মিত খেয়াল রাখবেন যে ভিসিটররা আপনার সাইটে প্রবেশ করছেন কিনা। ট্রাফিকের অবস্থা কেমন। কাস্টোমারদের কাছ থেকে রেসপন্দ কেমন পাচ্ছেন। দরকার হলে সফটওয়ার টুল ব্যবহার করে তা পর্যবেক্ষণ করুন। এই ডেটা পেতে, আপনি গুগল অ্যানালিটিক্সের বেঞ্চমার্কিং রিপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন।

বেঞ্চমার্ক এর ফলাফল ডকুমেন্ট হিসেবে সংরক্ষিত করে রাখবেন। ভবিষ্যৎ এ compare করার জন্য এ তথ্য কাজে লাগবে।

ডাটার উৎস হিসেবে গুগল অ্যানালেটিকস, গুগল ডাটা স্টুডিও ও অন্যন্য থার্ড পার্টি সফটওয়ার এর ব্যবহার যেনো শৃঙ্খলা অনুযায়ী হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। যে ডাটা পাবেন তার টাইপ অনুযায়ী ভাগ করে ফেলুন।

এই মুহুর্তে, আপনার কিছু চূড়ান্ত প্রাথমিক অডিটিং এবং কৌশল কাজ করার জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত। এটিকে প্রযুক্তিগত নিরীক্ষাও বলতে পারেন। এটি  আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে যে আপনার কাজের পরিকল্পনা কেমন হবে ও আপনাকে কতটা পথ অতিক্রম করতে হবে।

পাশাপাশি আপনি এটাও বুঝে যাবেন যে আইটি, কোড এবং সাইটের পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে কী ধরনের প্রচেষ্টার প্রয়োজন হবে। কৌশলগত পদ্ধতি অবলম্বন করে কাজ শুর করতে চাইলে এ ধরনের অডিটের গুরুত্ব রয়েছে।

প্রতিযোগীদের ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য কতটা প্রচেষ্টা প্রয়োজন তা নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ। কাস্টোমার সার্ভে করতে পারেন। প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান নিয়ে আপনার কাছে ডাটা থাকলে সেটা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। এতে তারা কোথায় আছে ও তাদের স্পর্শ করতে আপনার আর কতদূর যেতে হবে সেটা পরিষ্কার হবে।

অডিট ও রিভিউ পদ্ধতি অনুসরণ করার পর কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন আপনার জন্য সহজ হবে। আপনি যেহেতু সময়, অর্থ ও মেধা বিনিয়োগ করেছেন, কাজেই তার ইতিবাচক ফলাফল পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হতে পারেন।

পর্ব ০১: SEO শুরু করতে যেরকম পরিকল্পনা ও কৌশল প্রণয়ন দরকার