জুমবাংলা ডেস্ক: বান্দরবানের ঘুমঘুম-তুমব্রু সীমান্তের পর এবার টেকনাফ সীমান্তেও আতঙ্ক বিরাজ করায় টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে প্রশাসন নাব্যতা সংকটের কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধের কথা বলছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন বিভাগের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, নাফ নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত সব ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, পর্যটন মৌসুম শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন সংস্থার লিখিত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নাব্য সংকটের কথা বলা হলেও আদতে এ সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা। মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেল থেকে পর্যটকদের নিরাপদে রাখতেই এ সিদ্ধান্ত।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে পর্যটন মৌসুম শুরু হয় ১ অক্টোবর থেকে। মার্চ মাস পর্যন্ত দ্বীপটিতে পর্যটকরা যাতায়াত করতে পারেন। মৌসুম শুরু হলে টেকনাফ থেকে সাতটি জাহাজ ও ৩০টির বেশি ট্র্রলারে প্রতিদিন সেন্টমার্টিন যাওয়া-আসা করেন ৫ থেকে ১০ হাজার পর্যটক। এছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে দুটি বিলাসবহুল জাহাজ চলাচল করে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরফানুল হক জানান, নাব্য সংকট ও মিয়ানমার সীমান্তে সৃষ্ট সমস্যার কারণে নাফনদী দিয়ে চলাচলকারী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন এবং চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটক চলাচল অব্যাহত থাকবে।
রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন পাহাড়ে টানা দুই মাস ধরে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী আরাকান আর্মির তুমুল সংঘর্ষ চলছে। আরাকান আর্মির আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে রাত ও দিনে ছোড়া হচ্ছে মুহুর্মুহু গুলি ও অসংখ্য মর্টারের গোলা। প্রতিদিন গুলি ও গোলা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্ত এলাকার ঘরবাড়ি। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন পার করছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।