জুমবাংলা ডেস্ক: বাগেরহাট উপকূলের পশুর এবং বলেশ্বর নদে জাল ফেললেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়ছে না। মোহনায় বেহুন্দিসহ নানা ধরনের জাল পেতে রাখায় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেনে জেলেরা। আর এতে আড়তগুলোতে ইলিশের সরবরাহ অনেকটা কমে গেছে।
চাহিদামতো মাছ ধরা না পড়ায় উপকূল অঞ্চলের জেলেদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
গত শনিবার ভোরে বাগেরহাট কেবি বাজার পাইকারি মৎস্য আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, ইলিশ নিয়ে কোনো ট্রলার ঘাটে ভেড়েনি। ট্রলারশূন্য আড়তের ঘাট। আড়তে ইলিশ নেই বললেই চলে। সামান্য পরিমাণ ইলিশ ছিল, যা কোল্ডস্টোর থেকে আড়তে তোলা হয়েছে। আড়তজুড়ে ইলিশের ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। তবে এক থেকে দুই দিনের মধ্যে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে ট্রলার ঘাটে ভিড়বে—এমন আশার কথা শোনালেন আড়তদার সমিতির নেতারা।
দেলোয়ার হোসেন, আলমগীর শেখ, সুজন আলীসহ বেশ কয়েকজন জেলে জানান, গভীর সাগরে গিয়ে মাছ ধরার মতো তাঁদের ট্রলারের সক্ষমতা নেই। এ কারণে তাঁরা সাধারণত সাগরের মোহনা ও সুন্দরবন থেকে সাত থেকে আট কিলোমিটার দূরে সাগরের ভেতরে গিয়ে মাছ আহরণ করেন। জাল ফেললেও ইলিশ উঠছে না। যে টাকা খরচ করে তাঁরা সাগরে যাচ্ছেন, তার অর্ধেক টাকারও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে ভারতীয় জেলেরা তাঁদের অত্যাধুনিক ট্রলার নিয়ে সাগরের বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে ইলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে বলে জেলেদের অভিযোগ।
বাগেরহাট কেবি বাজার মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি আবেদ আলী শেখ বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং সাগরের বিভিন্ন এলাকায় চর জেগে ওঠার কারণে নদ-নদীতে ইলিশ আসছে না। আর আমাদের অঞ্চলের জেলেরা গভীর সাগরে যেতে না পারায় ইলিশ পাচ্ছে না। ’
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, ‘পশুর ও বলেশ্বর নদের মোহনায় জেলেরা বেহুন্দিসহ বিভিন্ন ধরনের জাল পেতে মাছ আহরণ করেন। যত্রতত্র নৌযান চলাচল করে। এসব কারণে ইলিশ উপকূলের নদ-নদীতে প্রবেশ করছে না। ’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।