আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অধিকৃত পশ্চিম তীরে আরও বসতি নির্মাণের জন্য ৮০০ হেক্টর জমি দখলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। গত কয়েক দশকের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ জমি দখলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। খবর এএফপির।
ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ পশ্চিম তীরের উত্তর জর্ডান উপত্যকার ৮০০ হেক্টর এলাকাকে রাষ্ট্রীয় ভূমি হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি এমন এক সময়ে এই ঘোষণা দিলেন যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েল সফর করছেন।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি পর্যবেক্ষণ করে এমন একটি সংগঠন হলো পিস নাউ। ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রীর নতুন ঘোষণার পর সংগঠনটি জানিয়েছে, ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তির পর এবার সবচেয়ে বেশি পরিমাণ জমি দখলর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। বছর হিসেবে ২০২৪ জমি দখলের চূড়ায় আরোহণ করেছে।
ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েল ও বিশ্বে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা জুডিয়া ও সামারিয়া অঞ্চল এবং সাধারণভাবে এই দেশের ওপর আমাদের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করতে চায়। তবে আমরা কঠোর পরিশ্রম ও কৌশলগতভাবে সারা দেশে বসতি স্থাপন করছি।’ পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি নাম হলো জুডিয়া ও সামারিয়া অঞ্চল।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ। বৈশ্বিক বিরোধিতা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক দশকে পশ্চিম তীরে কয়েক ডজন অবৈধ বসতি নির্মাণ করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে এসব বসতিতে প্রায় ৫ লাখ ইসরায়েলি বাস করছেন। পশ্চিম তীরে তারা প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনির পাশাপাশি বসবাস করে আসছেন।
কয়েক মাস আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেছেন, গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী ও ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সহিংসতার পরিমাণ নাটকীয় হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি গাজা যুদ্ধ শুরুর পর সেখানে চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।