বেশিরভাগ লোকের কাছে মূত্র একটি তরল উপাদান যা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দূর করা যায়। কিন্তু মানব ইতিহাসের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, মূত্র ছিলো একটি শক্তিশালী হাতিয়ার এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। আপনি যদি পদার্থটিকে গাঁজন ও বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে দেন তবে এর উচ্চ অ্যামোনিয়া উপাদান এটিকে একটি কার্যকর পরিষ্কার এবং ব্লিচিং এজেন্টে পরিণত করে। এটি পটাসিয়াম নাইট্রেট তৈরি করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে যা সল্টপিটার নামে পরিচিত। এটি বারুদের একটি উপাদান।
গাঁজানো মূত্র “ল্যান্ট” নামেই পরিচিত। সামরিক নেতাদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমন কিছু উদাহরণও ছিল যখন সরকার দাবি করেছিল যে, জনগণ তাদের তরল বর্জ্য বিভিন্ন চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে। আপনি হয়তো জানেন যে, পুরুষ সাপের দুটি পুরু ষাঙ্গ থাকে। প্রকৃতপক্ষে, অনেক টিকটিকি এবং অন্যান্য সরীসৃপ, বিশেষ করে স্কোয়ামেট, সরীগসৃপের বৃহত্তম প্রজাতি, তাদেরও দুটি লিঙ্গ রয়েছে। সাপের “হেমিপেনিস” এর পিছনের গল্পটি বিবর্তনীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
আশ্চর্যজনকভাবে, সাপ এখনও তাদের ডিএনএ-তে পা তৈরি করার ক্ষমতা ধরে রাখে, কিন্তু পায়ের বৃদ্ধি শুরু করার জন্য দায়ী জেনেটিক সুইচ নিষ্ক্রিয় করা হয়। এটি “সোনিক হেজহগ” জিন নামে পরিচিত। এই জিনের কারণে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিকাশ ঘটে। সুইচটি বন্ধ করার আগে ভ্রূণ বিকাশের প্রথম 24 ঘন্টার সময় সাপের পা উৎপাদনের সম্ভাবনা থাকে।
এই পায়ের বিকাশের প্রক্রিয়া সাপের লিঙ্গের সাথে সম্পর্কিত। ডাবল লিঙ্গ গঠনটি একই জায়গায় উদ্ভূত হয়েছিল যেখানে পা বিকশিত হতে পারে। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যৌনাঙ্গের বিকাশের জন্য দায়ী ভ্রূণের গঠন, ক্লোকা (যা মলদ্বার হিসাবেও কাজ করে), টিকটিকি, সাপ, পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে একই ভূমিকা পালন করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।