‘পাঁচটি ভয়ঙ্কর রোগের কারণ হতে পারে ওয়াসার দূষিত পানি’

জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা ওয়াসার সরবরাহকৃত পানির রঙ যদি ঘোলা কিংবা কালো হয়, ময়লা, কেঁচো ইত্যাদির উপস্থিতি থাকে এবং সেই পানি যদি কটু স্বাদ ও গন্ধযুক্ত হয় তবে তা নিশ্চিতভাবেই ব্যবহার ও পান করার জন্য নিরাপদ নয়। বাসা-বাড়িতে যদি পানি নিরাপদ না হয়, তবে সেই পানি পরিবারের সদস্যদের জন্য চর্মরোগ, টাইফয়েড, জন্ডিস, ডায়রিয়া, আমাশয়ের মতো রোগের কারণ হতে পারে। ওয়াসার নিরাপদ পানি আন্দোলন আয়োজিত গণশুনানি অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেছেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘নিরাপদ পানি : ওয়াসার দাবি ও জনগণের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক গণশুনানিতে তারা আরো বলেন, দূষিত পানিতে থাকা মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক, লেড, নাইট্রেট ক্লোরাইড ও ফ্লোরাইড, মানব শরীরে ক্যান্সারের মতো রোগ সৃষ্টির কারণ হতে পারে।

অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ওয়াসার এমডিকে উদ্দেশ করে বলেন, আমরা বোতলের পানি পান করতে চাই না। সরাসরি পাইপের পানি পান করতে চাই। নগরীতে এসি ছাড়া বাতাসের স্বাদ নিতে হবে। তিনি বলেন, নিরাপদ পানির জন্য নীতিমালা আনা উচিত। সরকারি সব প্রকল্পের তথ্য দেশের জনগণকে জানাতে হবে। এসব বিষয় দাবির মধ্যে আনতে হবে।

অনুষ্ঠানে ৫টি বিষয়ের ওপর সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়। এগুলো হচ্ছে- যেসব বাসাবাড়ি ও এলাকায় পানি নেই এবং বিষাক্ত নোংরা ময়লা পানি আসছে সেসব এলাকায় অতিদ্রুত নিরাপদ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। দূষিত পানির কারণে জুরাইন শ্যামপুর, মুরাদপুর, দনিয়া এলাকায় এ পর্যন্ত যারা অসুখ-বিসুখের শিকার হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পূর্বে সরবরাহকৃত পানি দূষিত হওয়া সত্ত্বেও এ যাবৎকালে যে বিল পরিশোধ করা হয়েছে, সেই সমূদয় অর্থ গ্রাহককে ফেরত দিতে হবে। সুপেয় পানি না পাওয়া পর্যন্ত মানুষ পানির বিল পরিশোধ করবে না। বছরের পর বছর কীভাবে নোংরা দূষিত পানি সরবরাহ করল ওয়াসা, সেই বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের কঠোর ব্যবস্থা করতে  হবে। অসত্য বক্তব্যের জন্য ওয়াসার এমডিকে ক্ষমা চাইতে হবে। দায়িত্ব পালন করতে না পারলে পদত্যাগ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মোহাম্মদ বলেন, এলাকাবাসীর বৈষম্যের কারণে ঢাকা ওয়াসার পানি এখনো সুপেয় নয়।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, জীবন বাঁচানোর আর্জি নিয়ে মিজান সাহেব ওয়াসার এমডিকে সরবত পান করাতে গিয়েছিলেন। ওয়াসার এমডি পারেন দুর্নীতি আর প্রতি জুন মাস এলে পানির দাম বাড়াতে। এছাড়া এমডি আর কোনো কাজ পারেন না।