আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর একেবারে রণংদেহীহয়ে উঠে পাকিস্তান। কাশ্মীরি ‘ভাই’দের পাশে দাঁড়াতে পারমাণবিক হামলার হুমকিও দিয়ে ফেলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু হঠাৎই ভোলপালটে সুর নরম করেছে পড়শি দেশটি। লড়াইয়ের বদলে আলোচনা বসতে চাইছে ইসলামাবা। কিন্তু হঠাৎ পাকিস্তানের এহেন সুমতি হওয়ার কারণ কী? কেনই বা আচমকা সুর নরম করেছে ইমরান সরকার। উত্তর খুঁজতে শুরু হয়েছে বিস্তর বিশ্লেষণ।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, চরম জ্বালানি সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। তলানিতে ঠেকেছে দেশটির তেলের ভাণ্ডার। এক পাক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে তারা জানিয়েছে, জুলাই মাসের শেষে পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২৬ দিন চলার মতো পেট্রোপণ্য মজুত রয়েছে । যা সে দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অথচ, যুদ্ধের নিয়ম মাফিক অন্তত ৭৫ দিনের তেল মজুত রাখতে হবে। আগস্ট মাসের শেষে পাকিস্তানের তেল শোধনাগারগুলিতে অপরিশোধিত তেল মজুত রয়েছে মাত্র ৩ লক্ষ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন। অথচ, তাদের পূর্ণ ধারণক্ষমতা ৮ লক্ষ ৭ হাজার মেট্রিক টন। ব্যবহারযোগ্য অপরিশোধিত তেল মজুত রয়েছে ২ লক্ষ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন।
আর পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রা ভাঁড়ারের হাল এমনই যে, তা দিয়ে তেল আমদানি করাটাও এখন প্রায় অসম্ভব। অর্থাৎ, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে খুব বেশিদিন ধরে তা চালিয়ে যাওয়ার মতো ক্ষমতা নেই পাকিস্তানের। তাই হয়তো উত্তেজনার বশে ভারতের সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেও, বাস্তব জানতে পেরে সুর নরম করতে বাধ্য হয়েছে ইসলামাবাদ।
আর্থিক মন্দা ও ভেঙে পড়া অর্থনীতির হাল ফেরাতে মরিয়া ইমরান সরকার। আপাতত পাক সেনার কাছে কাশ্মীর সমস্যা প্রধান হলেও, চাপে পড়ে লড়াইয়ের রাস্তা থেকে সরে এসেছে রাওয়ালপিণ্ডিও। সব মিলিয়ে নিষ্ফল অক্রোশে যুদ্ধের কথা বললেও আপাতত তা এড়িয়ে যেতে চাইছে ওই দেশ। তা বলে ছায়াযুদ্ধ থামাচ্ছে না পাক সেনা। গতকালই স্যার ক্রিক খাঁড়িতে একাধিক খালি নৌকা পাওয়া যায়। তারপর সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কায় জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।