আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে নিয়ে আমারিকা থেকে যে বিমান ভারতে এসেছিল, তা সৌদি আরবে ফিরে গিয়েছে। আসার সময়ে পাকিস্তানের আকাশ এড়িয়েছিল বিমানটি। তবে ফেরার সময়ে পাকিস্তানের উপর দিয়েই গিয়েছে।
গাল্ফস্ট্রিম জি৫০০ চার্টার্ড বিজ়নেস জেটে করে আমেরিকা থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে রানাকে। মাঝে প্রায় ১১ ঘণ্টা থেমেছিল বিমানটি। মায়ামি থেকে যে সাধারণ পথে দিল্লিতে বিমান আসে, সেই পথে রানার বিমান আসেনি। পাকিস্তানের আকাশ এড়াতে ঘুরপথে বিমানটিকে আনা হয়েছিল। তাতে সময় লেগেছিল বেশি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বুধবার মায়ামি থেকে স্থানীয় সময় রাত ২টো ১৫ মিনিট নাগাদ রানার বিমান রওনা দেয় ভারতের উদ্দেশে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী তখন সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট। এর পরে রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে নেমেছিল বিলাসবহুল সেই জেট। তখন সেখানে বুধবার সন্ধ্যা ৭টা। ভারতে তখন রাত সাড়ে ৯টা। এই বুখারেস্টেই ১১ ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিল বিমান। তার পর আবার বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে বিমানটি রওনা দেয়। ভারতীয় সময় অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সেটি দিল্লিতে পৌঁছোয়।
হামলা শুরুর মূহূর্তে কোথায় ছিলেন? তিনিই বাছেন ‘টার্গেট’? রানার থেকে যে সব তথ্য তুলে আনতে চায় এনআইএ।
চাকরিহারাদের লাথি মেরেছেন, সেই এসআইকেই কসবাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব দিল লালবাজার! পুলিশের সিদ্ধান্তে ফের বিতর্ক।
আমেরিকা থেকে যে সমস্ত বিমান ভারতে যাতাযাত করে, সাধারণ ভাবে সেগুলি পাকিস্তানের উপর দিয়েই যায়। রানার বিমানের ক্ষেত্রে ভিন্ন পথ নেওয়া হয়েছিল। বিমানটি রানাকে ভারতে পৌঁছে দেওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ফিরে গিয়েছে। সেখান থেকেই ওই চার্টার্ড বিমান ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। ফেরার সময়ে সাধারণ পথই ধরেছিল বিমানটি।
পাক বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান রানা ২৬/১১ মুম্বই হামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। এত দিন তিনি ক্যালিফর্নিয়ার বন্দিশালায় ছিলেন। অবশেষে তাঁকে দেশে ফেরানো হয়েছে। এনআইএ রানাকে ১৮ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে। শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ।
পাকিস্তানের উপর দিয়ে কেন রানার বিমান এল না, তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। ভারত বার বার এর বিরোধিতা করে এসেছে। মনে করা হচ্ছে, বিপদ এড়াতেই রানার বিমান সাধারণ পথে পাকিস্তানের উপর দিয়ে আনা হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।