পাকিস্তানের ইসলামাবাদের জি-১১ এলাকায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের বাইরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

ইসলামাবাদ পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা নিহতের এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন বলে স্থানীয় দৈনিক ডন জানিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ও প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ঘটনাটিকে ‘আত্মঘাতী হামলা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এক্স-এ দেওয়া পোস্টে প্রেসিডেন্ট জারদারি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য এক সতর্কবার্তা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যুদ্ধাবস্থায় আছি। কেউ যদি মনে করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী শুধু আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত বা বেলুচিস্তানের দূরবর্তী অঞ্চলে যুদ্ধ করছে, তাহলে আজকের ইসলামাবাদের এই আত্মঘাতী হামলা তার জন্য এক জাগরণবার্তা।’
খাজা আসিফ যোগ করেন, ‘এই পরিস্থিতিতে কাবুলের শাসকদের সঙ্গে আলোচনায় বড় কোনো সাফল্যের আশা করা বৃথা।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, আদালতের সামনে নিরাপত্তা ব্যারিকেডের পেছনে থাকা একটি পোড়া গাড়ি থেকে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে।
বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে থাকা আইনজীবী রুস্তম মালিক সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি গাড়ি পার্ক করে ভেতরে ঢোকার মুহূর্তে গেটের দিক থেকে প্রচণ্ড শব্দ শুনি। সঙ্গে সঙ্গে চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরো এলাকা বিশৃঙ্খল হয়ে যায়। সবাই দৌড়াচ্ছিল। আমি গেটের সামনে দুইজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখি, কয়েকটি গাড়িতেও আগুন লেগে যায়।’
ঘটনাটি এখনও তদন্তাধীন, এবং পাকিস্তান প্রশাসন হামলার পেছনে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে।
সূত্র:দ্যা ডন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



