জুমবাংলা ডেস্ক: পিঠে ইলেকট্রনিক যন্ত্র লাগানো একটি পাখি উদ্ধার হয়েছে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সাগরতীরের ধলঘাটা ইউনিয়নের অর্থনৈতিক জোন এলাকার স্লুইস গেটে। পাখিটি উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয় জনমনে দারুণ কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিভাইস লাগানো পাখি উদ্ধারের ঘটনা ভাইরাল হয়। এ নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় চলছে এলাকায়।
গতকাল সোমবার দুপুরে ধরা পড়া পাখিটি গতরাত ১১টার দিকে স্থানীয় বন বিভাগীয় কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান।
পাখিটি নিয়ে তৎক্ষণাৎ মহেশখালী দ্বীপের উপকূলীয় ইউনিয়ন ধলঘাটা ও মাতারবাড়ী এলাকার জনমনে ব্যাপক সন্দেহ এবং উদ্বেগেরও সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে সরকারের মেগাপ্রকল্প গভীর সমুদ্রবন্দর ও কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের এলাকায় আচমকা একটি পাখির পিঠে সিসি ক্যামেরা কিংবা জিপিআরএস সিস্টেমের অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ডিভাইস সংযুক্ত থাকায় জনমনে নানা সন্দেহের উদ্রেক হয়।
এ বিষয়ে ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান, নোমান নামের স্থানীয় এক তরুণ বেড়িবাঁধের স্লুইস গেটে পাখিটিকে দেখতে পান। পাখিটি তখন উড়তে অক্ষম ছিল। পাখির পিঠে ডিভাইস দেখতে পেয়ে ওই তরুণ প্রথমে ভয় পেয়ে যান। পরে তিনি পাখিটিকে চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যান।
রাতে আলাপকালে ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান, বিষয়টি আমি মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং বন বিভাগকে অবগত করি। মুহূর্তেই চারদিকে খবর চাউর হয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন সংস্থার লোকজন ‘রহস্যজনক ডিভাইস’ পরীক্ষার জন্য আমার কাছে পাখিটি চেয়ে বসেন।
ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আরো জানান, তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) পরামর্শক্রমে রাতেই স্থানীয় উপকূলীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা নুরুল আমিন মিয়ার হাতে পাখিটি হস্তান্তর করেন। পরবর্তী সময়ে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক পরিচয়ে দিলীপ কুমার দাশ নামের এক ভদ্রলোক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুলের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করেন।
অধ্যাপক পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি চেয়ারম্যানকে জানান, গবেষণার জন্যই পাখিটির পিঠে তিনি ডিভাইস লাগিয়ে ছেড়ে দিয়েছিলেন। এটি আটটি দেশ ঘুরে মহেশখালী দ্বীপে এসেছিল। সর্বশেষ পাখিটি নেপাল থেকে এসে হয়রান হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিল বলেও জানান চেয়ারম্যানকে।
চেয়ারম্যান কামরুল অধ্যাপককে পরামর্শ দিয়ে জানান, তিনি যাতে বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাখিটি নিয়ে যান। তবে গতরাত (সোমবার রাত) সোয়া ১১টায় অধ্যাপক দিলীপ কুমার দাশকে মোবাইল করলে তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে খুদে বার্তা দিলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।
এ বিষয়ে মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা খাঁন জুলফিকার আলী জানান, ধলঘাটার চেয়ারম্যানের কাছ থেকে পাখিটি আনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। তখনই আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে, বাস্তবে পাখিটি কোনো গবেষণার কাজে লাগানো হয়েছে কি না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।