জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনার এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীকে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী সাজিয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে জোর করে আটকে রাখা হয়েছিল। এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তারই প্রথম স্ত্রীর সন্তান। ফেসবুক পেজে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর শুক্রবার বছিলা থেকে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সদরদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (গণমাধ্যম) সোহেল রানা জানান, এক নারী পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত ফেসবুক পেজের ইনবক্সে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। তিনি জানান, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বহু বছর আগেই ডিভোর্স হয় তার বাবার। প্রথম সন্তানকে তিনি শুরু থেকেই পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছিলেন। এরপরও সেই ছেলে বাবার ব্যবসা দখলের চেষ্টা চালান। এর একপর্যায়ে ১৫ দিন আগে কিছু দুষ্কৃতিকারীর সহযোগিতায় তার বাবাকে পথ থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে ঢাকার কোনো একটি বেসরকারি হাসপাতালে মানসিক রোগী হিসেবে ভর্তি করে রাখেন বড় ছেলে। এ সুযোগে তার ব্যবসা দখল করা হয়। ব্যবসায়ীর দ্বিতীয় স্ত্রী-সন্তানরা তার কোনো খোঁজ না পেয়ে পুলিশের ফেসবুক পেজে বার্তা পাঠিয়ে সহযোগিতা চান।
এদিকে বার্তাটি দেখার পরপরই মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে নেয়। এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নিতে সংশ্নিষ্ট থানাকে নির্দেশনা এবং পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমকে বিষয়টি নিবিড় তদারকির পরামর্শ দেওয়া হয়। অবশেষে পাবনা জেলা পুলিশের তৎপরতায় স্বল্পতম সময়ে ভুক্তভোগীর অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
শুক্রবার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পাবনা জেলা পুলিশের একটি দল ঢাকার বছিলায় একটি অখ্যাত মানসিক রোগ হাসপাতাল ও রিহ্যাব সেন্টার থেকে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকালে তার স্ত্রী ও কন্যা সঙ্গে ছিলেন। এ বিষয়ে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।