লাইফস্টাইল ডেস্ক : শরীরের বেশিরভাগ কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন। ঠাণ্ডা আবহাওয়ার জন্য পিপাসা কম লাগে আমাদের। ফলে পানি কম খাওয়া হয়। এতে শরীরে পানির ঘাটতি হয়। শরীরের পানির ঘাটতি দেখা দিলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পানিশূন্যতা
শীতে ঘাম হয় না ও পিপাসাও কম পায়। এ কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এর ফলে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। হালকা পানিশূন্যতা হলে বারবার পিপাসা লাগে, মুখ শুকিয়ে যায় এবং প্রস্রাব গাঢ় রঙ ধারণ করে। গুরুতর পানিশূন্যতা হলে মাথা ঘোরা, বিভ্রান্তি, দ্রুত হৃৎস্পন্দন এবং এমনকি অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মনোযোগ কমে যায়
শরীরে পানিশূন্যতা হলে মনমেজাজ খারাপ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে,পানিশূন্যতা ঘনত্ব হ্রাস, স্বল্পমেয়াদী স্মৃতি সমস্যা, উদ্বেগ এবং ক্লান্তির অনুভূতি বাড়ে। কারণ পানিশূন্যতা হলে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। এর প্রভাব সারা শরীরে পড়ে।
হজমের সমস্যা
হজম এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরে পানিশূন্যতা হলে হজমের সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজম হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী ডিহাইড্রেশন গ্যাস্ট্রাইটিস এবং আলসারের মতো আরও গুরুতর হজমসংক্রান্ত সমস্যা বাড়তে পারে।
ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা
সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ক্লোরাইডের মতো ইলেক্ট্রোলাইটগুলি হল প্রয়োজনীয় খনিজ যা শরীরের তরল ভারসাম্য, স্নায়ু ফাংশন এবং পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। পানির ঘাটতি হলে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়তে পারে। এর ফলে পেশি দুর্বলতা, ক্র্যাম্প, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন, এমনকি গুরুতর ক্ষেত্রে খিঁচুনি হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
ইমিউন ফাংশন
শরীরের ইমিউন ফাংশন ঠিক রাখতে, সংক্রমণ এবং অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হাইড্রেশন গুরুত্বপূর্ণ। ডিহাইড্রেশন ইমিউন কোষ এবং অ্যান্টিবডিগুলির উৎপাদন হ্রাস করে ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করতে পারে। যার ফলে শরীরে সহজেই ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী ডিহাইড্রেশন শরীরের ক্ষত নিরাময় এবং অসুস্থতা থেকে থেকে সুস্থ হওয়ার ক্ষমতাকেও ব্যাহত করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।